Uncategorized

আইটি পণ্য রপ্তানির পরবর্তী গন্তব্য এস্তোনিয়া: প্রতিমন্ত্রী পলক

ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, এস্তোনিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে অনেক মিল রয়েছে। এস্তোনিয়া হবে বাংলাদেশের আইটি পণ্য রপ্তানির পরবর্তী গন্তব্য।

প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক মঙ্গলবার সচিবালয়ে তার দপ্তরে এস্তোনিয়ার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন।

সাক্ষাৎকালে সেদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগর বিভাগের প্রধান ক্রিস্টি কারেলশনের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন। এ সময় তারা বাংলাদেশ থেকে আইটি পণ্য আমদানি এবং তাদের উৎপাদিত স্মার্ট প্রযুক্তি পণ্য বাংলাদেশে রপ্তানির করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছে। তারা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়াদি, বিশেষ করে বাংলাদেশ ও এস্তোনিয়ার মধ্যে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যযোগাযোগ প্রযুক্তির অগ্রগতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন।

বাংলাদেশ ও এস্তোনিয়ার মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার বন্ধুপ্রতিম সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্মার্ট শিল্পবিপ্লবে বিশ্বে এখন নেতৃত্ব প্রদানকারী দেশের কাতারে উপনীত হয়েছে।

বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশে সরকার গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে বাংলাদেশে মূলত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। ২০০৯ সাল থেকে গত ১৫ বছরে এ খাতে অভাবনীয় অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতির ফলে বাংলাদেশে বিনিয়োগ অত্যন্ত লাভজনক। তিনি আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ ও এস্তোনিয়ার মধ্যকার বন্ধুপ্রতিম সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এস্তোনিয়া প্রতিনিধি দলের প্রধান ক্রিস্টি কারেলশন সেদেশের তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতির বিভিন্ন দিক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে জানান। ক্রিস্টি বলেন, সাইবার নিরাপত্তাসহ স্মার্ট অবকাঠামো উন্নয়নে এস্তোনিয়া কাজ করছে। বাংলাদেশে এ খাতে অগ্রগতির অভিজ্ঞতা অন্যদের অনুপ্রাণিত করবে। তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেন।

প্রতিনিধি দলের অপর সদস্যরা হলেন, ভারতে এস্তোনিয়ার রাষ্ট্রদূত মার্জি লুপ, বাংলাদেশে এস্তোনিয়ার অনারারি কনস্যুল সৈয়দ ফরহাদ আহমেদ এবং নয়দিল্লিতে এস্তোনিয়া দূতাবাসের ডিসিএম মারগুস সলসন।

Related Articles

Back to top button