রাজনীতি ফিরবে জানলে বুয়েটে ভর্তি হতাম না : আবরার ফাহাদের ভাই
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েটে) আবার ছাত্ররাজনীতি চালু হবে জানলে এই ক্যাম্পাসে ভর্তি হতেন না বলে জানিয়েছেন ছাত্রলীগের হাতে নিহত আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ।
তিনি বলেন, ‘আমার সুযোগ ছিল, আমি বাইরে চলে যেতে পারতাম। কিন্তু রাজনীতি নেই দেখে আমি বুয়েটে ভর্তি হয়েছি।’
২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এরপরই ছাত্রদের তীব্র আন্দোলন ও দাবির প্রেক্ষিতে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ হয় ছাত্ররাজনীতি।
ফাহাদ যখন নিহত হয়েছিলেন, তার ভাই ফাইয়াজ তখন মাধ্যমিকের ছাত্র। ভাইয়ের হত্যার তিন বছর পর ফাইয়াজ যখন বুয়েটে ভর্তি হন, তখন সেখানে ছাত্ররাজনীতি পুরোপুরি নিষিদ্ধ।
সোমবার আদালতের রায়ের পর আবরার ফাইয়াজ তার ও পরিবারের উদ্বেগের কথা জানান বিবিসি বাংলাকে।
ফাইয়াজ বলেন, ‘বুয়েটে যদি আবার সেই রাজনীতি ফিরে আসে, তাহলে তা হবে আবরার ফাহাদকে দ্বিতীয়বার হত্যা করার শামিল। এত কিছুর পরও যদি রাজনীতি ব্যাক করে, তাহলে পরে কাউকে মারলেও কোনো প্রতিবাদ হবে না।’
বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে ২০১৯ সালে ঘোষণা দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ, একটি রিট আবেদনের পর সোমবার সেটি স্থগিত করে হাইকোর্ট।
এরপর মঙ্গলবার থেকে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগ। দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, বুয়েটে তাদের নতুন রাজনীতি হবে সেশনজট, র্যাগিং-বুলিং, দখল-বাণিজ্য ও হত্যা-সন্ত্রাস বিরোধী রাজনীতি।
তবে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছেন, রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের বাইরে অন্য কোনো ইস্যুতে তারা মতামত দিতে চান না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক কৌশল বিভাগের চূড়ান্ত বর্ষের এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘পাঁচ বছর আগে রাজনৈতিক পরিবেশে ভয়ের জায়গা ছিল বুয়েট। রাজনীতি বন্ধ হওয়ায় আমরা একটা নিরাপদ ক্যাম্পাস পেয়েছিলাম। আমরা সেই পরিবেশটাই বজায় রাখতে চাচ্ছি।’
সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপ করে রাজনীতি চালু করার কথা বলেও শিক্ষার্থীরা বলছেন, রাজনীতি ফিরলে তারা আর ক্লাস পরীক্ষায় ফিরবেন না।
বুয়েটের শিক্ষার্থীদের সাথে এই আন্দোলনের সাথে একাত্মতা জানিয়ে সরব হয়ে উঠেছেন সাবেক শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও।
বুয়েটের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. আইননু নিশাত বলেন, ‘এখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্ররাজনীতির নামে যা হচ্ছে সেটা তো অপরাজনীতি। ছাত্ররাজনীতির এই চরিত্র আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য না।’
তবে মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে একটি সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, ‘আধুনিক নিয়মতান্ত্রিক ধারার ছাত্ররাজনীতির সূচনা দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বুয়েট থেকেই শুরু হতে যাচ্ছে’।
এ জন্য বিশ্বের স্বচ্ছ র্যাংকিংধারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্ররাজনীতি কিভাবে পরিচালিত হয় তা থেকে জ্ঞান নিয়ে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চালুর কথা বলেন তিনি।
তবে ছাত্ররাজনীতি নিয়ে শিক্ষার্থীদের আপত্তি কেন, তা জানতে বিবিসি বাংলা কথা বলেছে বর্তমান বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে। তারা অনেকটা খোলামেলা এসব প্রশ্নের জবাব দেন। তার ফাহাদের ছোট ভাই ফাইয়াজ ছাড়া আর কেউ তাদের নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি।
তারা এ জন্য বেশ কিছু কারণকে তুলে ধরেছেন।
‘বুধবারের চাঁদ রাত ফেরত না আসুক’
বাংলাদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মতো র্যাগিং কালচার ভয়াবহ অবস্থায় রূপ নিয়েছিল বুয়েটেও। ছাত্ররা বলছেন, ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের আগ পর্যন্ত বুয়েটের হলগুলোতে র্যাগিংয়ের নেতৃত্ব দিতো ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অনেকেই।
ক্যাম্পাসে ভর্তি হওয়ার পর প্রথম বর্ষের স্টুডেন্টদের থাকতে হতো গণরুমে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বুয়েট ক্যাম্পাসে সাপ্তাহিক ছুটি থাকে। ক্লাস চলাকালীন মাসগুলোতে এ কারণে ছুটির আগের দিন প্রতি বুধবার রাতে গণরুম সংস্কৃতি প্রবল হয়ে উঠেছিল বুয়েটে। এ কারণে ছুটির আগে বুয়েটের বুধবার রাত পরিচিত ছিল চাঁদ রাত নামেই।
বুয়েটের এম এ রশীদ হলের এক ছাত্র বলেন, ‘সেখানে এমন ভয়াবহভাবে র্যাগিংয়ের শিকার হতে হতো সাধারণ শিক্ষার্থীদের তা বলার ভাষা নেই। এ কারণে প্রতি বুধবার এলেই আমাদের আতঙ্কে থাকতে হতো। আমরা চাই না সেই চাঁদ রাত আবার ফেরত আসুক।’
শেরে বাংলা হলের স্থাপত্য বিভাগের সাবেক এক শিক্ষার্থী জানান, যে সব ছাত্ররা রাজনীতি করতে আগ্রহ প্রকাশ করতো তারা এই র্যাগিংয়ের হাত থেকে বেঁচে যেতো। অন্যদের পড়তে হতো বিপদে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, ২০১৯ সালের অক্টোবরের পর থেকে আর এই ধরনের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়নি তাদের।
বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ড. নিশাত বলেন, ‘ক্যাম্পাসে এ ধরনের ঘটনাগুলোই শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করছে। ছাত্রদের পড়াশুনার পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এখনকার ছাত্ররা আর সে সব অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে চায় না।’
ফাহাদের ছোট ভাই ফাইয়াজ বলেন, ‘এই ইস্যুতে এত স্টুডেন্টের ক্ষোভ, জিনিসটা কোনদিকে যাচ্ছে আমরা বিষয়টা আইডিয়া করতে পারছি না। ক্যাম্পাসে এসব ফিরে আসুক কেউ চায় না’।
যদিও মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটে তারা যে নতুন ধারার রাজনীতি শুরু করতে চান সেখানে থাকবে না কোনো র্যাগিং বা সন্ত্রাস।
বুয়েটের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী তাহমিদ হোসেন বলেন, দল ভারী করতে বুয়েটে র্যাগিং সাংগঠনিক স্ট্রাটেজি হিসেব ব্যবহার করতো ছাত্রলীগ। এর শিকার হয়ে অনেকে ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে গেছে বলেও জানান তিনি।
আধিপত্য আর সিট বাণিজ্য
বাংলাদেশের বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটে ভর্তি হয় দেশের সর্বোচ্চ মেধাবী শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়ে থাকে বলে একটি ধারণা রয়েছে। সাবেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অনেকেই জানান, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে কোনো ধরনের কোটা পদ্ধতি নেই। সে কারণে মেধাবী বাদে ভর্তি হতে পারেন না।
চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী বিবিসি বাংলাকে জানান, ছাত্ররাজনীতি যখন চালু ছিল তখন প্রতিটি হলে সিট বরাদ্দ এবং এ নিয়ে বাণিজ্য করত ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন।
ছাত্ররাজনীতি বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত হলে সিট পেতে ধর্ণা দিতে হতো ছাত্র নেতাদের কাছে। কোনো কোনো নেতা আবার এই সিট বরাদ্দের বিনিময়ে অনেকের কাছ থেকে টাকাও নিতো।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, রাজনীতি বন্ধ গত পাঁচ বছরে হলের সিট বরাদ্দ কিংবা বিভিন্ন ইস্যুতে হল প্রশাসনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার কারণে প্রায় সব শিক্ষার্থীই হলে আসন পেয়েছেন।
বুয়েটের ১৭ ব্যাচের ছাত্র হোসেন বলেন, ‘২০১২-১৯ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের এই অপ-রাজনীতির স্বীকার হয়েছেন অনেকে। ক্ষমতা ধরে রাখতে ছাত্র নেতারা ছেলে-মেয়েদের ডেকে নিয়ে যেতো।’
‘এই ছাত্রলীগ নেতাদের অনেকেই ডাইনিং কিংবা মেসের টাকা মেরে খাওয়ার জন্য রাজনীতি করতো। এ নিয়ে তাদের কেউ জবাবদিহিও করতে পারতো না’ বলছিলেন হোসেন।
রাজনীতি ফিরলে সিট বাণিজ্য ফিরে আসবে বলে আশঙ্কা করছে সাধারণ ছাত্রদের অনেকেই। তারা বলছেন, কখনো কখনো হলের একটি সিটের বিনিময়ে ৮-১০ হাজার টাকাও নেয়া হতো।
এম এ রশীদ হলের চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্র বলেন, ‘রাজনীতিমুক্ত বুয়েট ক্যাম্পাসে আমরা যথেষ্ট নিরাপদে ছিলাম। নতুন করে রাজনীতির নামে সেই আধিপত্যশীল ধারায় আর ফিরে যেতে চাই না আমরা।’
সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেইন
ছাত্ররাজনীতি ইস্যুতে বুয়েটের এই আন্দোলনে বর্তমান শিক্ষার্থীদের সাথে অনলাইনে যুক্ত হয়েছেন সাবেক শিক্ষার্থীরাও। গত দুই দিনে ‘নো স্টুডেন্ট পলিটিক্স ইন বুয়েট’ হ্যাশট্যাগ’ ব্যবহার করে বুয়েটের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের অনেককেই বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দিতে দেখা গেছে।
আলমগীর রিপন নামের ৯২ ব্যাচের সাবেক এক শিক্ষার্থী হ্যাশট্যাগ দিয়ে যে পোস্ট করেছেন তিনি সেখানে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, তিনি বুয়েটের ড. এম এ রশীদ হলের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
রিপন জানান, রাজনৈতিক কর্মী হওয়ার পরও তিনি রাজনীতির বিরোধিতা করছেন বর্তমান রাজনীতির ধারা নিয়ে। তিনি ওই পোস্টে জানান, এখন ক্যাম্পাসে গণরুমসহ বিভিন্ন ধরনের সংস্কৃতি ঢুকেছে। যে কারণে তিনি এই রাজনীতির বিরোধীতা করছেন।
অনিক সরকার নামে একজন সাবেক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ধর্মীয় উগ্রবাদ রুখতে বুয়েট ক্যাম্পাসে সরকারদলীয় ছাত্ররাজনীতি দরকার- এর চেয়ে দূর্বল যুক্তি আর কিছু হতে পারে না। বুয়েটে যদি উগ্রবাদী প্রচারণা থাকে তা ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমেই বন্ধ করা যায়।
বর্তমান শিক্ষার্থীদের অনেকেই পোস্ট করে লিখেছেন ‘আমি বুয়েট ২০ ব্যাচের আবরার ফাহাদ’ ক্যাম্পাস পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাওয়া পর্যন্ত আমি আর ক্লাসে প্রবেশ করবো না’।
চমক হাসান নামে জনপ্রিয় অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও বুয়েটের সাবেক ছাত্র লিখেছেন, ‘আমি বুয়েটের অ্যালামনাইদের একজন হিসেবে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে চাই। আমি দৃঢ়ভাবে মনে করি বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ থাকা উচিত। ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র শিবির- কিছুরই দরকার নাই’।
নাজমুস সাদাত নামে ক্যাম্পাসের বর্তমান এক ছাত্র ‘নো স্টুডেন্ট পলিটিক্স ইন বুয়েট’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে ফেসবুক পোস্টে চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে।
সেখানে তিনি বলেন, ‘বুয়েটে ইইই বিভাগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে জিপিএ ৪.০০ এর মধ্যে ৪.০০ পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা নম্বরধারীদের একজন। কিন্তু তিনি এখন চান না বুয়েটে আবার ফিরে আসুক ছাত্ররাজনীতি। এ জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা চান।’
ক্যাম্পাসে ফিরতে ছাত্রলীগের চার দফা
বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিয়ে সোমবার আদালতের রায়ের পর মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেন ছাত্রলীগ। এ সময় তারা বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বিশেষায়িত ছাত্র রাজনীতির রূপকল্প তারা তৈরি করার কথা জানান।
একই সাথে প্রায় পাঁচ বছর পর ক্যাম্পাসে ফিরতে তারা চার দফা ঘোষণা করেন। তবে, এই চার দফা বাস্তবায়নে তারা কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা বেধে দেননি।
তাদের ঘোষিত কর্মসূচিগুলো হলো-
১. বুয়েটের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহি রাবির আবাসিক হল ফিরিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে বুয়েট শহিদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি।
২. আধুনিক, স্মার্ট ও পলিসি নির্ভর নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি প্রতিষ্ঠার কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণে বুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতামত আহ্বান ও আলোচনা।
৩. সাম্প্রদায়িক-মৌলবাদী-‘জঙ্গি’ কালোছায়া থেকে বুয়েটকে মুক্ত করতে সেমিনার ও সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজন।
৪. বুয়েটে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে প্রশাসনের সাথে আলোচনা।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আধুনিক নিয়মতান্ত্রিক ধারার ছাত্ররাজনীতির সূচনা দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বুয়েট থেকেই শুরু হতে যাচ্ছে।’
এ জন্য বিশ্বের স্বচ্ছ র্যাংকিংধারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্ররাজনীতি কিভাবে পরিচালিত হয় তা থেকে জ্ঞান নিয়ে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চালুর কথা বলেন তিনি।
সাদ্দাম হোসেন জানান, মহাকাশে কিভাবে অভিযান পরিচালনা করা যায়, রোবটিক্সের মাধ্যমে কিভাবে শিল্প বিপ্লব জয় করা যায়, নিজ দেশের উচ্চ প্রশিক্ষিত ইঞ্জিনিয়ার্সদের মাধ্যমে কিভাবে ভবিষ্যতের বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যায় সেটি নিয়ে ভাবছেন তারা।
সূত্র : বিবিসি