অন্যান্যআন্তর্জাতিকওপার বাংলাবিনোদনশিরোনাম

অস্কার মিললেও মেলেনি মাহুত দম্পতির পারিশ্রমিক

 র- আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ  যাদের গল্পে চলতি বছরের অস্কার মঞ্চে হেসেছেন ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’ নির্মাতারা, তারাই শোনালেন মন খারাপ করা সংবাদ। অস্কার জয়ের মাস পাঁচেক পেরিয়ে গেলেও মেলেনি মাহুত দম্পতি বোমান ও বেলির পারিশ্রমিক। শুধুই কি তাই, মেলেনি পাওনা টাকাও। সম্প্রতি ‘দ্য হিন্দু’-তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী তথ্যচিত্র নির্মাতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন এই দম্পতি।তামিলনাড়ুর মুদুমালাই অঞ্চলের বাসিন্দা বোমান ও বেলি। হস্তীশাবক রঘুকে অবশ্যম্ভাবী মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন এই মাহুত। রঘুকে শুধু নতুন জীবনদানই নয়, তাকে পালন-পোষণ করে বড় করে তুলেছিলেন তারা। রঘুর পরে ওদের কোলে আসে আরও এক হস্তীশাবক আম্মু। হস্তীশাবকদের পালন-পোষণে কোনও খামতি রাখেন না বোমান ও বেলি। কিন্তু তাদের নিজেদের জীবনধারণের সামান্য খরচ বহন করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় মাহুত দম্পতিকে।তাদের জীবনযাপনের আঁধারে তৈরি তথ্যচিত্র অস্কার পাওয়ার পরেও তারা নাকি এখনো পর্যন্ত ন্যায্য পারিশ্রমিক পাননি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ক্ষুব্ধ বোমান ও বেলি জানান, অস্কার জয়ের পরে পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত তাদের পারিশ্রমিক মেটাননি নির্মাতারা। শুধু তাই-ই নয়, একাধিকবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও নাকি তাদের পাত্তা দেননি নির্মাতারা। বোমান ও বেলি এ-ও জানান যে, তথ্যচিত্রে তাদের বিয়ের যে দৃশ্য দেখানো হয়েছে, তা শুট করতে প্রায় এক লাখ টাকা খরচ হয়েছিল।অভিযোগের সুরে তারা জানান, তথ্যচিত্রের পরিচালক কার্তিকি গনসালভেস এক দিনে ওই দৃশ্য শুট করার কথা জানিয়েছিলেন। শুটের সময় তিনি নিজে সেই পরিমাণ অর্থ জোগাড় করতে না পারায় তার অনুরোধেই নাকি নিজেদের সঞ্চয় থেকে প্রায় এক লাখ টাকা খরচ করেছিলেন বোমান ও বেলি। দম্পতির অভিযোগ, কার্তিকি তাদের কথা দিয়েছিলেন যে, ওই টাকা যত দ্রুত সম্ভব ফেরত দিয়ে দেবেন। তবে অস্কার জয়ের পর থেকে তার নাকি আর কোনও পাত্তাই নেই। নিজেদের ন্যায্য পারিশ্রমিক পাওয়ার জন্যও বারবার হয়রান হতে হচ্ছে বোমান ও বেলিকে।এই মাহুত দম্পতির কথায়, ‘আমরা যখনই ওকে ফোন করি, উনি বলেন উনি এখন ব্যস্ত আছেন, পরে কথা বলবেন। দিনের পর দিন কেটে যায়, উনি কখনো আর ফোন করেন না।’ প্রবীণ মাহুত দম্পতির গলায় স্পষ্ট আক্ষেপের সুর।যদিও বোমান ও বেলির এই অভিযোগ মিথ্যা বলেই তথ্যচিত্রের পরিচালক এবং প্রযোজনা সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বিবৃতির মাধ্যমে বলা হয়েছে, হাতি সংরক্ষণের বিষয়টি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার জন্যই ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’ তৈরি করা হয়। তাতে বোমান, বেলি ও বনবিভাগের প্রচুর অবদান রয়েছে। এই তথ্যচিত্র সাফল্য পাওয়ার পর থেকে মাহুত এবং কাভাড়িস গোষ্ঠীর মানুষের জীবনে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ইকোফ্রেন্ডলি ঘর তৈরি করে দিয়েছেন আর আন্নামালাই টাইগার রিজার্ভে এলিফ্যান্ট ক্যাম্প তৈরি করা হচ্ছে। এই তথ্যচিত্র অস্কার জিতে ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছে বলেও জানানো হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button