দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত
দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় কয়েকটি জেলায় ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। এতে একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
রোববার সকাল ১০টা দিকে পিরোজপুর সদরে ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। এসময় গাছ চাপা পড়ে মারা যান রুবি বেগম নামের এক নারী।
ঝড়ে গাছপালা ভেঙে পড়ে আহত হন আরো ৯ জন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে বরিশাল-পিরোজপুর মহাসড়কে গাছ পড়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ভেঙে গেছে কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালা।
খুলনায় টানা কয়েক দিনের তীব্র গরমের পর সকালে বৃষ্টি হয়েছে। সকাল সাড়ে আটটা থেকে খুলনার আকাশ কালো হতে শুরু করে। সাড়ে নয়টা নাগাদ বিশ মিনিটের হালকা বৃষ্টিতে স্বস্তি নামে নগরীতে।
খুলনার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, কাল বৈশাখের প্রভাবে বিশ মিনিটে চার মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়।
দুর্বিষহ গরমের পর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ঝরেছে রাজধানী ঢাকায়। ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি এনে দিয়েছে স্বস্তি।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আগে জানানো হয়েছিলো, রোববার রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ী দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সাথে কোথাও কোথাও হতে পারে শিলাবৃষ্টি। এতে তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি কমে আসতে পারে।
তবে এপ্রিল মাস জুড়েই তাপপ্রবাহ চলবে এবং এবারের ঈদে সময় অন্যবারের তুলনায় গরম বেশি থাকবে বলেও আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
আবহাওয়া অফিস আরো জানায়, পশ্চিমা লঘুচাপের বাড়তি অংশ হিমালয় পাদদেশের পশ্চিমবঙ্গ ও তার কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
সেজন্য পাবনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, যশোর, খুলনা, ফরিদপুরসহ ১২ জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।