র-নিউজ ডেস্কঃ রাজধানীর উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের সাইদ গ্র্যান্ড সেন্টারের আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে দ্য ক্যাফে রিও রেস্টুরেন্ট এবং এলিট পেইন্ট অ্যান্ড কেমিক্যাল লিমিটেড নামের রঙের কোম্পানির অফিস। প্রতিষ্ঠান দুটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের আনুমানিক ১০ কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে সম্পূর্ণ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।১১ অক্টোবর দ্য ক্যাফে রিওর ম্যানেজার আকরাম হোসেন টিটু এবং এলিট পেইন্ট অ্যান্ড কেমিক্যাল লিমিটেডের কর্মকর্তা রাহাত খা এ তথ্য জানান।জানা গেছে, আগুনে ভবনের সপ্তম থেকে ১১তলা পর্যন্ত উত্তরপূর্ব কোণের অংশ সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। এর মধ্যে সপ্তম তলায় এলিট পেইন্ট, অষ্টম তলায় ক্যাফে রিও ও নবম তলায় মাসকো গ্রুপের অফিস ছিল, যেগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।ক্যাফে রিওর ম্যানেজার আকরাম হোসেন টিটু ঢাকা পোস্টকে বলেন, আগুনে দ্য ক্যাফে রিওর আনুমানিক পাঁচ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। কিছুদিন আগেই নতুন করে ডেকোরেশন করা হয়েছে। নতুন কাঠের ডিজাইন, নতুন সোফা সেট আনা হয়েছিল। সব কিছুই পুড়ে গেছে।তিনি বলেন, আমাদের শুধু কিচেনটা এখন পর্যন্ত সেইফ আছে, সেখানে আগুন পৌঁছাতে পারেনি। এছাড়া বাকি সব কিছুই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কিছু ক্যাশ টাকা ছিল, সেগুলোও ছাই হয়ে গেছে। ভেতরে গিয়েছিলাম, ছাই ছাড়া কিছুই পাইনি। নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না, কতটা নির্মম অবস্থা ভেতরে।এলিট পেইন্ট অ্যান্ড কেমিক্যাল লিমিটেডের কর্মকর্তা রাহাত বলেন, সাত তলা থেকে শুরু করে ১১তলা পর্যন্ত সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কেউ যে কোনো কিছু উদ্ধার করবে, এমন কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই। আমাদের অফিসের কোনো কিছুরই চিহ্ন আমরা পাইনি। সব মিলিয়ে আনুমানিক ৬ কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভানোর পর সকাল ৯টায় ভবনের ভেতর আমরা প্রবেশ করতে পারি। তবে আগুন যখন লেগেছে তারপর রাত ২টা থেকে আমাদের প্রতিনিধিরা ভবনের সামনে অবস্থান নেয়।এদিকে মাসকো গ্রুপের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (অ্যাকাউন্টস) ফারহাদ ইবনে রওশন বলেন, আমাদের ৯তলা, ১২তলা, ১৩তলা ও ১৪তলায় অফিস রয়েছে। ১২, ১৩, ১৪তলায় আগুন পৌঁছাতে পারেনি, তবে ৯তলার অফিস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে আমাদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ফাইল ও ডকুমেন্টস ছিল, সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।তিনি বলেন, আমি কিছুক্ষণ আগেই ভেতরে ঢুকেছিলাম, আগুন না থাকলেও ভেতরে প্রচণ্ড গরম। বিল্ডিংয়ের দেয়ালে হাত দেওয়ার মতো অবস্থা নেই। অফিসে আমাদের অসংখ্য মালামাল রয়েছে, সেগুলো পর্যায়ক্রমে আমরা বের করে আনছি।ভবনের দায়িত্বে থাকা রানা নামের এক সিকিউরিটি জানান, ভবনে কোনো মানুষ ছিল না। আগুন লাগার সময় ভবন বন্ধ ছিল। যে কারণে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে আগুন লাগার কারণে বর্তমানে ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন আছে।