অন্যান্যজীবন যাপনশিরোনাম

মাইগ্রেন— করণীয়

মাইগ্রেন এক ধরনের মাথা ব্যথা। তবে এই ব্যথা সাধারণ মাথা ব্যথার মতো নয়। সাধারণত মাথার এক দিকে হয়, তবে দুই দিকেও হতে পারে। যাদের মাইগ্রেন হওয়ার প্রবণতা আছে, তাদের শব্দ, আলো, গন্ধ, বাতাসের চাপের তারতম্য ও কিছু খাবারের প্রভাবে পুনরায় নতুন করে তীব্র মাথা ব্যথা শুরু হতে পারে।

মাইগ্রেনের উপসর্গ

ব্যথা দুই থেকে ৭২ ঘণ্টা স্থায়ী হতে পারে; বমি বমি ভাব হতে পারে; আলোর দিকে তাকাতে অসুবিধা হতে পারে; অতিরিক্ত শব্দের কারণে ব্যথা বাড়তে পারে।

মাইগ্রেনের কারণ

বংশগত; সাইনাসের প্রদাহে বা প্রচুর সর্দি-কাশি; তীব্র ও ভাপসা গরমে; হরমোনের প্রভাব (সাধারণত মেয়েদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়); দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপ; চিনিজাতীয় খাবার খাওয়া; অতিরিক্ত আওয়াজ

কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন

লাগাতার চোখে দেখতে সমস্যা হলে; খিঁচুনি থাকলে; শরীরের কোনো অংশ অবশ অনুভব করলে; জ্বর ও ঘাড় শক্ত হওয়া থাকলে; স্মরণশক্তি, শরীরের ব্যালান্স কমে গেলে।

মাইগ্রেন হলে করণীয়

ব্যথা উদ্রেককারী বিষয়গুলো এড়িয়ে চলুন; চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন; নিয়মিত সঠিক সময় ঘুমাতে যান; যেসব খাদ্যে মাইগ্রেন ট্রিগার হতে পারে, সেগুলো পরিহার করুন; অতিরিক্ত টিভি বা স্ক্রিন দেখা থেকে বিরত থাকুন।

নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে থাকে

ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীর থেকে এন্ডরফিন নামক পদার্থ নিঃসরণ বেড়ে যায়, যা শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যথা কমাতে পারে। ব্যথা নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা যে মরফিন বা পেথিডিন ব্যবহার করি, তা এন্ডরফিন সমগোত্রীয়। মাইগ্রেনের জন্য ঘাড় ও মাথার ব্যায়াম, জগিং, সুইমিং ও সাইকেলিং উপকারী।

মাইগ্রেন ব্যথার চিকিৎসা

মাইগ্রেন ব্যথার কোনো অনুমোদিত মেডিক্যাল চিকিৎসা নেই। বিভিন্ন ধরনের পেইনকিলার ব্যবহার করা হয়। এসব পেইনকিলার দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে পেটে আলসার, উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অভ্যাসগত সতর্কতা মেনে চলা নিয়মিত ব্যায়াম ও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন মাইগ্রেনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button