রাজনৈতিক পরামর্শ দিয়ে যিনি ফি নেন ১০০ কোটি
নির্বাচনের রণকৌশল ঠিক করার জন্য ১০০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নেন ভারতের ভোট-কুশলী ও ‘জন সুরজ পার্টি’র প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক প্রশান্ত কিশোর (পিকে)। বিষয়টি তিনি নিজেই স্বীকার করে জানান, কোনো রাজনৈতিক দল বা রাজনৈতিক নেতাকে নির্বাচনী পরামর্শ দেওয়ার জন্য ১০০ কোটি রুপির বেশি পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন।
বিহারে আসন্ন বিধানসভার উপনির্বাচন উপলক্ষে গত ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার একটি নির্বাচনী প্রচারণায় উপস্থিত থেকে এ কথা প্রকাশ্যে আনেন পিকে।
বিহারের বেলাগঞ্জে একটি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, মানুষ প্রায়ই তাকে জিজ্ঞাসা করে যে কিভাবে তিনি তার নির্বাচনী প্রচারণার খরচ জোগাড় করেন।
এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেই পিকে বলেন, ‘আমার পরামর্শের জোরেই এই মুহূর্তে দেশের ১০টি রাজ্যে সরকার চলছে। আপনারা কি মনে করেন যে নির্বাচনে প্রচারণার জন্য টেন্ট বা মঞ্চ করার জন্য আমার কাছে পর্যাপ্ত অর্থ নেই?আপনারা কি মনে করেন যে আমি ততটা দুর্বল?বিহারে এখনো পর্যন্ত কোনো মানুষ আমার পারিশ্রমিকের অর্থের পরিমাণ শোনেনি। শুধুমাত্র একটি নির্বাচনে পরামর্শ দেওয়ার জন্য আমি ১০০ কোটি রুপি বা তার বেশি নিয়েছি। অর্থাৎ একটি মাত্র নির্বাচনী পরামর্শ থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়েই আমি আগামী দুই বছরের জন্য আমার নির্বাচনী প্রচারণার খরচ চালাতে পারি।’
আর পিকের এই মন্তব্যের পরেই পরিষ্কার যে, ২০২২ সালে পশ্চিমবঙ্গেও নবান্ন দখলে রাজ্যটির ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসকেও সমপরিমাণ অর্থ দিতে হয়েছিল। কারণ ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরকে রাজ্যে নিয়ে আসেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও মমতার ভাতিজা অভিষেক ব্যানার্জি। রাজ্যে তৃণমূলের ভিত মজবুত করার গুরু দায়িত্ব ছিল পিকের কাঁধে। সেই দায়িত্ব সফলতার সাথে পালন করেছিলেন তিনি।
আসন্ন উপনির্বাচনে বিহারের ৪টি বিধানসভা আসনে পিকে’র দল ‘জন সুরজ পার্টি’ তাদের প্রার্থী দিয়েছে। বেলাগঞ্জ কেন্দ্রে মো. আমজাদ, ইমামগঞ্জ থেকে জিতেন্দ্র পাশওয়ান, রামগড় থেকে সুশীল কুমার সিং কুশওয়া এবং তারারি কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন কিরণ সিং। আগামী ১৩ নভেম্বর এই ৪টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন, গণনা ২৩ নভেম্বর।