চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ চট্টগ্রাম নগরীতে টানা বৃষ্টিতে ধসে পড়েছে পাহাড়। এসময় সড়কে চলন্ত একটি মাইক্রোবাসের ওপর মাটি পড়ে সেটি আটকে যায়। এতে হতাহতের কোনো ঘটনা না ঘটলেও লালখানবাজার-টাইগারপাস সড়কে প্রায় একঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।শুক্রবার সকালে নগরীর টাইগারপাস এলাকার সড়কের পাশে এ ঘটনা ঘটে। ধসে পড়া মাটি পাহাড় সংলগ্ন ফুটপাত ছাড়িয়ে মূল সড়কে এসে পড়েছে।সরেজমিনে দেখা যায়, পাহাড় থেকে ধসে পড়া মাটি সরাতে ব্যস্ত ফায়ার সার্ভিস ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কর্মীরা। রাস্তা বন্ধ হওয়ায় যানবাহনগুলো ওই অংশ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।মুরসালিন রহমান নামের এক পথচারী বলেন, ‘টানা বৃষ্টি পড়ায় পাহাড় ধস হয়েছে। এমনিতেই পাহাড়গুলো ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতিদিন সকালেই এই রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাই। অনেক ভয়ে ভয়েই এই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করছি।’শাফিন আহমেদ নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী বলেন, ‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের জন্য সড়ক এমনিতেই সংকুচিত হয়ে পড়েছে। তাই আমাদের ফুটপাত ঘেষে গাড়ি চালাতে হয়। পাহাড় ধসের কারণে রাস্তাটা আরও ভয়ানক হয়ে উঠেছে। তাই সাবধানে গাড়ি চালাতে হচ্ছে।’ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বে থাকা জালাল আহমেদ বলেন, সকাল ৮টা ৪৫মিনিটে আমরা পাহাড় ধসের খবর পাই। এরপর আগ্রাবাদ থেকে দুইটি টিম সেখানে যায়। পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ায় দ্বিমুখী ওই সড়কের লালখান বাজার থেকে টাইগার পাসগামী অংশে যান চলাচল বন্ধ ছিল। এখন একটু স্বাভাবিক হয়েছে।’নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, পাহাড় ধসে মাটি পড়ে একটি মাইক্রোবাস আটকে পড়ে সড়কে। সিটি করপোরেশনের কর্মীরা দ্রুত মাটি সরিয়ে নেন। পরে মাইক্রোবাসটিকে সড়কের একপাশে সরিয়ে নেওয়া হয়।মাইক্রোবাসটিকে চালক একাই ছিলেন বলে জানা গেছে।পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রাম শহরে।জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে ঘটনাটি শুনেছে। রাতভর বৃষ্টি হয়েছে তাই এই ঘটনা ঘটেছে। সড়কে যে মাটি ছিলো তা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’