র- আন্তর্জাতিক ডেস্ক; অবশেষে ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনার প্রধান প্রিগোজিনের মৃত্যু নিয়ে মুখ খুলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, প্রিগোজিন একজন প্রতিভাবান ব্যক্তি ছিলেন কিন্তু জীবনে অনেক ভুল করেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিমান বিধ্বস্তে নিহত ১০ জনের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন পুতিন।বুধবার রাত ১১টার দিকে রাজধানী মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গগামী একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। বিমানে সাতজন যাত্রী ও তিনজন ক্রু ছিল। যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন প্রিগোজিন ও ওয়াগনারের উপপ্রধানও। ব্যক্তিগত বিমানটি উড্ডয়নের আধা ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যে বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত হওয়ার পর ওই উড়োজাহাজে আগুন ধরে যায়। ১০ জনেরই মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছেবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর থেকে নীরব ছিলেন পুতিন। তার নীরবতায় রাশিয়ার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বিধ্বস্ত হওয়া স্থানের নিকটবর্তী গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, বিমান ভূপাতিত হওয়ার আগে তারা বিকট শব্দ শুনেছেন।আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে গতকাল বিধ্বস্তের বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হলেও নীরব ছিলেন পুতিন। দক্ষিণ আফ্রিকায় চলমান ব্রিকস সম্মেলনে ভার্চুয়ালি বক্তব্যও রেখেছেন তিনি। কিন্তু ওয়াগনার প্রধানের মৃত্যু নিয়ে কিছু বলেননি।পরবর্তী সময়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক বার্তায় মুখ খুলেছেন পুতিন। তিনি বলেন,দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি আমি গভীর সমবেদনা জানাই। এই মানুষগুলো ইউক্রেনে নব্য নাৎসিবাদ উত্থানরোধে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে লড়াই করেছে।প্রিগোজিনকে নিয়ে তিনি বলেন, প্রিগোজিন জীবনে অনেক বড় ভুল করেছেন। তবে আমার চাওয়া সৎ উদ্দেশ্যে কাজ করে তার কিছু অর্জনও রয়েছে।গতকাল বৃহস্পতিবার এক ব্রিফিংয়ে পেন্টাগনের মুখপাত্র জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ওয়াগনার প্রধান মারা গেছেন। সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে মার্কিন কর্মকর্তা জানান, বিস্ফোরণের কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে থাকতে পারে।ওয়াগনার সংশ্লিষ্ট টেলিগ্রাম গ্রুপ গ্রে জোনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বিমানটি গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি তারা।বিধ্বস্ত হওয়ার কোনো কারণ রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। তবে ঘটনা অনুসন্ধানে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মস্কো।