র-নিউজ ডেস্কঃ হজযাত্রীর টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে দুই এজেন্সি। ফলে এই দুই এজেন্সির মাধ্যমে হজে যেতে নিবন্ধন করা ৪৬৮ জনের হজযাত্রা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। দুটি এজেন্সির মধ্যে ‘আল রিসান ট্রাভেলস’ ৪৪৮ জন এবং ‘দিয়া ইন্টারন্যাশনাল’ ২০ জন হজযাত্রীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছে।এজেন্সি দুটির শীর্ষ কর্তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আবু তাহের স্বাক্ষরিত চিঠিতে আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সির বিষয়ে বলা হয়, নিবন্ধিত যাত্রীদের অদ্যাবধি কোনো ভিসা হয়নি। এজেন্সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগও করা যাচ্ছে না।এজেন্সিটিতে নিবন্ধিতদের ‘প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে’ উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, ‘তাদের এ বছর হজে যাওয়া অনিশ্চিত হতে পারে। এ অবস্থায় আল রিসান ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সালাম মিয়া যাতে দেশ ত্যাগ করতে না পারে এবং একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।’দিয়া ইন্টারন্যশনাল ২০ হজ যাত্রীকে আল ঈমান হজ কাফেলা ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরস এর অধীনে নিবন্ধন করিয়েছে জানিয়ে বলা হয়, ‘এজেন্সিটির চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী বাবুর দেশত্যাগ বন্ধ করা ও তাদের খুঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া দরকার।’হজ ফ্লাইট ডাটা যথাসময়ে এন্ট্রি করার জন্য হজ এজেন্সিগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে হজযাত্রীদের কাছ থেকে পশু কোরবানির জন্য অর্থ নেয়ার বিষয়ে এজেন্সিগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে।এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, গত ১২ মে অনলাইনে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের জেদ্দা এয়ারপোর্ট সার্ভিসের মহাপরিচালক আব্দুর রহমান ঘ্যানামের সঙ্গে সভা শেষে এ নির্দেশনাগুলো জারি করে ধর্ম মন্ত্রণালয়।সভায় হজ ফ্লাইট যাত্রা শুরুর পূর্বেই সঠিকভাবে ফ্লাইট ডাটা সৌদি ই-হজ সিস্টেমে এন্ট্রি করার অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়।