অর্থনীতিশিরোনাম

৩৩৫ আমদানি পণ্যে শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছে সরকার

র-নিউজ ডেস্কঃ  নতুন অর্থবছরের বাজেট মানেই নতুন করে ভ্যাট, শুল্ক, কর বৃদ্ধি। জনমনে পণ্যের দাম আরেক দফা বৃদ্ধির শঙ্কা। এবার রাজস্ব বাড়াতে, আসছে বাজেটে ৩৩৫টি আমদানি পণ্যে শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছে সরকার। মোবাইলে কথা বলতেও গুনতে হবে বাড়তি টাকা। মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের আয় কমে গেলেও বাজেটে বাড়ছে না করমুক্ত আয় সীমা। বিশ্লেষকরা বলছেন, চাপে মানুষদের স্বস্তি দিতে, বাজেট আরও জনবান্ধব হওয়া উচিত।বৈশ্বিক যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে দেশে ডলার সংকটের খরা কাটেনি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভেও অবস্থাও টালমাটাল। ব্যবসায়ীরা পর্যাপ্ত এলসি খুলতে না পারায় ব্যাহত হচ্ছে আমদানি। এমন পরিস্থিতিতে বাজারে মূল্যস্ফীতি চরমে।ব্যবসায়ীরা বলছেন, যে চাল ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, সে চাল এখন ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। দুই কেজি আটা ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, সেই দুই কেজি আটা এখন ১০০ থেকে ১১০ টাকা। তেল ছিল ৯০ থেকে ১০০ টাকা লিটার, এখন ১৭০ টাকা লিটার।যেকোনো সময়ের তুলনায় বড় চাপে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত। কেনাকাটায় করছেন কাটছাট।ভোক্তারা বলছেন, সকালে এক দাম বিকেলে আরেক দাম, এতে করে মানুষের জীবন যাত্রা চরম কঠিন হয়ে পড়েছে। সামনে বাজেট মানে দাম আরেক দফা বাড়বে। আর দাম বাড়লে এদেশে কোনো কিছুর দাম আর কমে না।জীবন চালাতে হিমশিম অবস্থার মাঝেই আগামী বাজেটে সাধারণ মানুষের খরচ আরও বাড়াবে। চাল, গম, ভুট্টা, সরিষা বীজ, সয়াবিন, ভিটামিন, ইনসুলিন, ডায়াবেটিসের পাশাপাশি বিভিন্ন জরুরি ওষুধ ও ওষুধের কাঁচামাল আমদানিসহ, শুল্কমুক্ত ৩৩৫টি পণ্যে ১ শতাংশ করে শুল্ক বাড়াতে যাচ্ছে সরকার।

 

মোবাইলে কথা ও ইন্টারনেটের খরচও বাড়তে যাচ্ছে। মোবাইল ফোনে কথা বলতে ১৫ শতাংশ ভ্যাটের পাশাপাশি ১৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক দিচ্ছেন ভোক্তারা। এ ছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাটের পাশাপাশি ১৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং ১ শতাংশ সারচার্জ দিতে হয়। আসছে বাজেটে এসবের সঙ্গে আরও ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বাড়াতে পারে এনবিআর।একদিকে ডলার সংকট ও মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের আয় কমে গেছে। অন্যদিকে আগামী বাজেটে পকেটের টাকা আরও খরচের ব্যবস্থা করা হলেও, বাড়ছে না করমুক্ত আয়সীমা।বিআইআইএসএম’র গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবির বলেন, নিম্ন কর আয়সীমা যদি কিছুটা বাড়ানো যায় অন্তত আরও ৫০ হাজার যদি বাড়ানো যায় সেক্ষেত্রে মানুষ কিছুটা স্বস্তি পাবে। কারণ নিম্ন আয়ের মানুষ কিন্তু এখন কর দিচ্ছেন।বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজেটে সাধারণ মানুষের স্বস্তির জায়গায় বেশি জোর দেওয়া জরুরি।গবেষণা সংস্থা সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমদানির ক্ষেত্রে আমরা কিন্তু শুল্ক সমন্বয় করতে পারি। কম আয়ের মানুষ যেগুলা ক্রয় করেন, সেগুলার ওপরে চাপটা বেশি না পড়ে। পত্যক্ষ করের ওপরে চাপটা যাতে বেশি থাকে। এবং সেটা যদি করা যায় তাহলে কিছুটা হলেও প্রশমিত হবে।

Related Articles

Back to top button