নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দীর্ঘ ১০ বছর পর হতে যাচ্ছে লালমনিরহাট জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলন। এই সম্মেলন ঘিরে নতুন নেতা কর্মীর মুখ দেখা গেলেও প্রবীণ নেতাকর্মীদের পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে। এতে আনন্দের সম্মেলনের মধ্যেও কষ্টের চিহ্ন দেখা যাচ্ছে। গেলো এক সপ্তাহে জেলা জাতীয় পার্টির অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী পদত্যাগ করেছেন।শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে পৌর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন নেতাকর্মী পদত্যাগের বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। আর নেতাকর্মী পদত্যাগ করার চিঠিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। যে কারণে জাতীয় পার্টি কে নিয়ে আলোচনা- সমালোচনা শুরু হয়েছে নতুন করে।জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নেতা-কর্মীদের সঠিক মূল্যায়ন না করা, সরকারি প্রজেক্ট বরাদ্দে জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিবের একক আধিপত্যে নেতা-কর্মীরা তার প্রতি নাখোশ। এ কারণেই সম্মেলনের আগে তারা পদত্যাগ করছেন।এছাড়াও পুরাতন নেতা কর্মীদের মূল্যায়ন করে বিভিন্ন সভা সেমিনার করছে। এতে করে প্রবীন নেতাকর্মীরা ক্ষোভ ঝড়াচ্ছেন পদত্যাগের মাধ্যমে। নির্বাচনের আগে নেতা-কর্মীদের গণ পদত্যাগ ভোটের মাঠে জাতীয় পার্টিতে প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা স্থানীয় রাজনীতিবিদদের।সম্প্রতি পৌর জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম আউয়াল, জেলা জাতীয় তরুণ পার্টির সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম শফিক, সদর উপজেলা জাতীয় তরুণ পার্টির সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম রাজু, পৌর সভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জাতীয় তরুণ পার্টির সাধারণ সম্পাদক লিটন চন্দ্র রায়, একই ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি শাহিনুর ইসলাম ও একই ওয়ার্ডের ৩৫ জনসহ মোট অর্ধ শতাধিক নেতা-কর্মী একযোগে পদত্যাগ করেন।এ বিষয়ে সদ্য পদত্যাগ করা পৌর জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম আউয়াল বলেন, ‘দীর্ঘদিন থেকে জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। কিন্তু এখানে নেতা-কর্মীদের কোনো মূল্যায়ন নেই। তাছাড়া দলের সদস্য সচিবের একক আধিপত্য বিস্তারের কারনো কোনো নেতা-কর্মী দাম পায় না। তিনি যা করবেন তাই। আমাদের কথার কোনো মূল্যায়ন নাই। তাই আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’পদত্যাগকৃত নেতা-কর্মীদের ধারণা, তাদের মতো আরও বহু নেতা-কর্মী দল থেকে সরে দাঁড়াবেন। তবে এমনটি মনে করেন না পৌর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, ‘যারা পদত্যাগ করছে তারা কোনো পদে নেই। ফলে তাদের পদত্যাগ দলের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।’