র-স্পোর্টস ডেস্কঃ বাংলাদেশের বিশ্বকাপের শুরুতে বাংলাদেশ দল নিয়ে শুরু হয়েছিল হাজারো আলোচনা-সমালোচনা। তবে সবকিছুর যেন যবনিকাপাত হলো প্রথম ম্যাচেই। আফগানিস্তানকে বিধ্বস্ত করে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করলো বাংলাদেশ। শনিবার (৭ অক্টোবর) বেলা ১১টায় ভারতের ধর্মশালায় বিশ্বকাপের তৃতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান।ম্যাচটিতে টস জিতে আফগানিস্তানকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান সাকিব আল হাসান। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৭.২ ওভারে ১৫৬ রান তুলতেই সবকটি উইকেট হারায় আফগান বাহিনী। জবাবে ৩৪.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।ম্যাচের শুরুতে আফগানদের উদ্বোধনী জুটি ভাঙতে বেগ পেতে হয় টাইগারদের। তবে দলীয় ৪৭ রানে ব্রেকথ্রু এনে দেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব। নিজের কোটার দ্বিতীয় ওভারে বল করতে এসেই নজিবুল্লাহ জাদরানের উইকেট তুলে নেন তিনি। সে সময়ে তানজিদ তামিমের হতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ২২ রান করেন ওপেনার জাদরান।এরপর রহমত শাহকে নিয়ে রানের চাকা ঘুরাচ্ছিলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। তাদের ৩৬ রানের জুটিও ভাঙেন সাকিব। উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্রিজের ভেতরই লিটন দাসকে ক্যাচ দেন রহমত। ২৫ বলে ১৮ রান করেন আফগান ব্যাটার।দলীয় ১১২ রানে হাশমতউল্লাহ শাহিদিকে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে তাওহীদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ দেন আফগান অধিনায়ক। ৩৮ বলে ১৮ রান করেন সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর আঘাত হানেন মুস্তাফিজুর রহমান। তার শিকারে পরিণত হয়ে মাঠ ছাড়েন রীতিমতো বিপজ্জনক হয়ে উঠা রহমানউল্লাহ গুরবাজ।দলীয় ২৯তম ওভারে নিজের ষষ্ঠ ওভার করতে আসেন সাকিব। ওই ওভারে সরাসরি নাজিবউল্লাহ জাদরানের স্টাম্প ভেঙে দেন তিনি। ৫ রানে বিদায় নেন আফগান ব্যাটার। তাসকিনের ব্যক্তিগত পঞ্চম ওভারে সরাসরি বোল্ড হন মোহাম্মদ নবি। ১২ বলে ৬ রান করেন আফগান অলরাউন্ডার। রশিদ খান ফেরেন ৯ রান করে।তবে কার্যকরী ইনিংস খেলেন আজমতউল্লাহ। ২০ বলে ২২ রান করে শরিফুল ইসলামের বলে ইনসাইড এজ হয়ে মাঠ ছাড়েন। তখন আফগানদের দলীয় রান ১৫৬। স্কোর বোর্ডে রানসংখ্যা স্থির থাকতেই মুজিবকে ফেরান মিরাজ। তিনি নেন রশিদের উইকেটও। নাভিন উল হক ও ফজলহক ফারুকি রানের খাতাই খুলতে পারেননি। বাংলাদেশের মধ্যে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ছাড়া উইকেট পেয়েছেন বাকিদের সবাই।মাত্র ১৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। রান আউটের ফাঁদে কাটা পড়েন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম (১৩ বলে ৫ রান)। এরপরে দলীয় ২৭ রানে আরেক ওপেনার লিটন দাসকে ফেরান আফগান বোলার ফজলহক ফারুকি। ফারুকির অফ স্টাম্পের বাইরের বলে লিটন খেলতে গিয়েছিলেন ক্লাসিক শট। কিন্তু ইনসাইড-এজ হয়ে বল গিয়ে আঘাতে হানে লেগস্টাম্পে। তাতে ১৮ বলে ১৩ রান করেই থামে লিটনের ইনিংস। এরপরে দলের হাল ধরেন শান্ত ও মিরাজ।এর মধ্যে কয়েকবার জীবন পাওয়া মিরাজ তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত ৫৭ রানে আউট হন মিরাজ। এই রান করতে মিরাজ খেলেছেন ৭২ বল। ৫৭ রানের ইনিংসে মিরাজ ৫টি চার ৪টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। ২৮.১ ওভারে নভিনকে মিড অফের ওপর দিয়ে তুলে মারতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার। কিন্তু সেখানে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন রহমত শাহ। তাতেই তৃতীয় উইকেটের পতন হয়।এরপরে শান্তকে সঙ্গে নিয়ে জয়ের বন্দরে এগিয়ে যান অধিনায়ক সাকিব। তবে জয় থেকে মাত্র ১১ রান বাকি থাকতে সাজঘরে ফেরেন সাকিব। ১৯ বলে ১৪ রান করা বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ওমরজাইয়ের বলে মিডউইকেটে দাঁড়িয়ে থাকা ফজলহক ফারুকির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। শেষ দিকে মুশফিককে নিয়ে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন শান্ত।