প্রয়োজনে সংসদ ভোটের ১৫ দিন পর্যন্ত পুলিশ রাখা হবে: অতিরিক্ত সচিব
র- নিউজ ডেস্কঃ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রয়োজন হলে ভোটের পরবর্তী ১৫ দিন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকবে। তবে এখন এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।বুধবার (১৮ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি।অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, এই বিষয়টি নিয়ে এখনও কোন চূড়ান্ত হয়নি। তবে কমিশনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী ভোটের ১৫ দিন পর্যন্ত নিরাপত্তা রাখতে পারে ইসি। যেহেতু সুধীজনদের সাথে সংলাপে ভোট পরবর্তী সহিংসতার বিষয়টি উঠে এসেছে এবং বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরাও এ বিষয়ে চিঠি দিয়ে কমিশনকে অবহিত করছে, সেহেতু প্রয়োজন হলে কমিশন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবে।ভোটের মাঠে নিরাপত্তা নিশ্চিতে মূলত পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসার বাহিনী নিয়োজিত থাকে। এছাড়া নির্বাচনের সময় ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসেবে কাজ করে সশস্ত্র বাহিনী। পুলিশ ভোটের আগে দুই দিন ও পরে দুইদিন পর্যন্ত মোট চারদিন দায়িত্ব পালন করে। আনসার সদস্যরা ভোটের আগে পরে মিলিয়ে দায়িত্ব পালন করেন মোট পাঁচদিন। অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরাও তিন থেকে চারদিন নির্বাচনী দায়িত্বে থাকেন।আগামী ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সংসদের ৩০০ আসনে ভোটকেন্দ্র হবে ৪২ হাজারের কিছু বেশি। গত নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনীর ছয় লাখের বেশি সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসেবে ছিল সশস্ত্রবাহিনী। আগামী নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গত নির্বাচনের চেয়েও অনেক বেশি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানা গেছে। কারণ, গত নির্বাচনের চেয়ে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা আগামী নির্বাচনে বেশি থাকবে।সর্বশেষ ২০২২ সালের হালনাগাদ অনুযায়ী, দেশে ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪লাখ ৪৫ হাজার ৭২৪ জন। আর নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৪ হাজার ৮৭৯ জন। এছাড়া হিজড়া ভোটার রয়েছেন ৮৩৭ জন। তরুণ ভোটারদের অন্তর্ভূক্ত করার সুযোগ সৃষ্টি করায় এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। তাই এবার ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের সংখ্যা বাড়ছে পাঁচ শতাংশের মতো। আগামী ২ নভেম্বর আসন ভিত্তিক তালিকা চুড়ান্ত করবে ইসি।