প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ৯ ইসলামী দলের নেতাদের সাক্ষাৎ
র-নিউজ ডেস্কঃ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ৯টি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ ১৪ নেতার একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় গণভবনে এ সাক্ষাৎ হয়।এ সময় জাতীয় নির্বাচনের সার্বিক বিষয় নিয়ে নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন। একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের জন্য তারা শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসাও করেন নেতারা। পরে প্রতিনিধি দল শেখ হাসিনাকে একটি ক্যালিওগ্রাফি উপহার দেন।রাজনৈতিক দলগুলো হলো: বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট, আশেকানে আউলিয়া ঐক্য পরিষদ এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।এদিকে নিবন্ধন না থাকায় মহাজোটের শরিক দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ৪০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা জানিয়েছে ইসলামী ঐক্যজোট। দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জোটের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রাহমান চৌধুরী এ কথা জানান।বিএনপিসহ অন্যান্য দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে তফসিলসহ ভোটের তারিখ পেছানোর দাবি জানান ১৪ দলীয় জোটের অংশীদার ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে সংলাপ আয়োজনের আহ্বানও জানান তিনি।সংবাদ সম্মেলনে মিছবাহুর রাহমান দাবি করেন, আগামী নির্বাচন একপেশে হবে। তবে সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য আগামী নির্বাচন হতে হবে বলে মনে করেন তিনি। এ জন্য তার দলও নির্বাচনে অংশ নেবে।গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়নের আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এবং ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি।