নির্বাচনী হালচালশিরোনাম

ইসির নিদের্শে নামছে সশন্ত্রবাহিনীর ছোট টিম

র-নিউজ ডেস্কঃ  আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহের জন্য  ছোট আকারে সশস্ত্র বাহিনীর অগ্রবর্তী টিমকে নেমে যেতে বলছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত চিঠি সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারকে (পিএসও) পাঠানো হয়েছে। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত  এ সংক্রান্ত চিঠি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।এর আগের সেনা মোতায়েন জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল অনুরোধ জানালে রাষ্ট্রপতি এতে সম্মতি দেন। পিএসওকে লেখা চিঠিতে আতিয়ার রহমান উল্লেখ করেছেন, আগামী ০৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠান করার নিমিত্ত নির্বাচন কমিশন সম্ভব সকল আইনানুগ ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার জন্য সার্বিক প্রস্তুতিও গ্রহণ করা হয়েছে। ভোটগ্রহণের পূর্বে, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরে শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার নিমিত্ত ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের আওতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সমগ্র বাংলাদেশের ৩০০টি নির্বাচনি এলাকায় ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ হতে ১০ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত (যাতায়াত সময়সহ) সশস্ত্র বাহিনী নিয়োজিত হবে মর্মে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।এ লক্ষ্যে মাননীয় নির্বাচন কমিশনের সাথে আলোচনার প্রেক্ষিতে নির্বাচনের কয়েকদিন পূর্ব হতে নির্বাচনি এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা, ভৌত অবকাঠামো এবং নির্বাচনি পরিবেশ পরিস্থিতির উপর প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করার নিমিত্ত প্রতি জেলায় সশস্ত্র বাহিনীর ছোট আকারের একটি করে অগ্রবর্তী টিম পাঠানো যেতে পারে। চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, ফৌজদারী কার্যবিধি ও অন্যান্য আইনে বিধান অনুসারে এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় হতে জারিকৃত সংশ্লিষ্ট বিধান অনুযায়ী সশস্ত্র বাহিনী পরিচালিত হবে।মোতায়েনকৃত সশস্ত্র বাহিনী নির্বাচনি কাজে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের পরামর্শে ফৌজদারী কার্যবিধি অনুযায়ী বেসামরিক প্রশাসনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যেভাবে সহায়তা করবে-

(ক) সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ প্রতিটি জেলা/উপজেলা/মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট (Nodal Point) এবং সুবিধাজনক স্থানে নিয়োজিত থাকবে; (খ) রিটার্নিং অফিসারের সাথে সমন্বয় করে উপজেলা/থানায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণকে মোতায়েন করা হবে;
(গ) সশস্ত্র বাহিনীর টিমের সাথে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত করা হবে এবং আইন, বিধি ও পদ্ধতিগতভাবে কার্যক্রম গৃহীত হবে;
(ঘ) সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের নির্দেশনা অনুসারে এলাকাভিত্তিক Deployment Plan চূড়ান্ত করা হবে;
(ঙ) ভোটগ্রহণের দিন, তার আগে ও পরে কার্যক্রম গ্রহণ ও মোতায়েনের সময়কালসহ বিস্তারিত পরিকল্পনা অবহিত করতে হবে;
(চ) বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার এর অনুরোধক্রমে চাহিদামত আইনানুগ অন্যান্য কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে।

চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, সেনা মোতায়েনের বিষয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত নির্দেশনা জারি করা হবে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে পিএসও জানিয়েছিলেন, তারা ১৩ দিনের জন্য ভোটের দায়িত্ব পালন করবেন বলে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়েও অধিক সংখ্যক ফোর্স মোতায়েন করা হতে পারে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button