ভোক্তা পর্যায়ে আবারও বাড়ানো হলো তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম। জানুয়ারি মাসের তুলনায় ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪১ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ নিয়ে টানা ৭ মাস বাড়ানো হলো এলপিজির দাম।৪ ফেব্রুয়ারি দাম বাড়ানোর নতুন ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।বিইআরসি জানায়, ১২ কেজির এলপিজির দাম ১ হাজার ৪৩৩ টাকা থেকে ৪১ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।একইসঙ্গে অটোগ্যাসের দামও বাড়িয়েছে বিইআরসি। ফেব্রুয়ারি মাসে ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার ৬৭ টাকা ৬৮ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত জানুয়ারি মাসে যা মূসকসহ নির্ধারণ করা হয়েছিল প্রতি লিটার ৬৫ টাকা ৬৭ পয়সা।এর আগে গত ২ জানুয়ারি ১২ কেজির সিলিন্ডার গ্যাসের দাম ২৯ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৩৩ টাকা নির্ধারণ করেছিল বিইআরসি। আর গত ৩ ডিসেম্বর ১২ কেজির সিলিন্ডার গ্যাসের দাম ২৩ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪০৪ টাকা ও ২ নভেম্বর ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১৮ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৩৮১ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংস্থাটি।গত বছরের জুলাই মাসে সবচেয়ে কম ছিল ৯৯৯ টাকা। অন্যান্য বছর নভেম্বরের পরে দাম কমে এলেও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের কারণে এখনও ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে আন্তর্জাতিক বাজার ২০২১ সালের ১২ এপ্রিলের আগে পর্যন্ত এলপিজির দর ছিল কোম্পানিগুলোর ইচ্ছাধীন। ১২ এপ্রিল দর ঘোষণার সময় বলা হয় আমদানিনির্ভর এই জ্বালানি সৌদি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি আরামকো ঘোষিত দরকে ভিত্তিমূল্য ধরা হবে। সৌদির দর ওঠা-ওঠা-নামা করলে ভিত্তিমূল্য উঠানামা করবে। অন্যান্য কমিশন অপরিবর্তিত থাকবে। ঘোষণার পর থেকে প্রতিমাসে এলপিজির দর ঘোষণা করে আসছে বিইআরসি।তবে বিইআরসির ঘোষিত দরে বাজারে পাওয়া নিয়ে অভিযোগ রয়েছে ভোক্তাদের। তাদের অভিযোগ হচ্ছে বাজারে নির্ধারিত মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে না। বিক্রেতারা তার ইচ্ছামত দর আদায় করছেন।দর প্রসঙ্গে বিইআরসি চেয়ারম্যানের বক্তব্য হচ্ছে, ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে সেসব বিক্রেতার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, ভবিষ্যতেও নেওয়া হবে।