নির্বাচনি প্রচারণায় প্লাস্টিক পোস্টার ব্যবহার বন্ধে আইন করার উদ্যোগ ইসির
আদৃতা ইসলামঃ যেকোনো নির্বাচনি প্রচারণায় প্রার্থীরা কাগজের পোস্টার পরিবর্তে প্লাস্টিক আবরণ যুক্ত পোস্টার বেশি ব্যবহার করে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা থাকলেও প্রার্থীদের তা মানাতে পারছে না সংস্থাটি। ফলে নতুন আইন করে প্লাস্টিক পোস্টার ব্যবহার বন্ধ করার পরিকল্পনা করছে ভোট আয়োজনকারী সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি।সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধামালায় সংশোধনী আইন ও বিধিমালা সংস্কার কমিটির কার্যবিবরণী থেকে এসব তথ্য জানা যায়।ইসি কর্মকর্তারা জানান, আমার লক্ষ্য করেছি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের প্রচারণায় প্লাস্টিক আবরণযুক্ত পোস্টার ব্যাপকহারে ব্যবহার করেছেন প্রার্থীরা। নির্দেশনা দেওয়ার পরও কুয়াশায় পোস্টার ভিজে ছিঁড়ে যাওয়াকে অজুহাত হিসেবে দেখিয়ে প্রার্থীরা আমাদের নির্দেশনা অমান্য করেছেন। তাই সার্বিক দিক বিবেচনা করে বিষয়টি আইনে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানার নেতৃত্বে আইন সংশোধনে গঠিত কমিটি এমন সুপারিশ করেছে। এক্ষেত্রে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালা সংশোধনের উদ্যোগ প্রথম নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় এই সরকার নির্বাচনের আচরণ বিধিমালায় সংশোধনের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, নির্বাচনি প্রচারপত্র বা পোস্টার বা লিফলেটে থার্মাল লেমিলেমন ফিল্ম বা পলিথিনের আবরণ এবং প্লাস্টিক ব্যানার (পিভিসি ব্যানার) ব্যবহার বন্ধে বিধান আনতে হবে। এ নিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয় অনুরোধও করেছে নির্বাচন কমিশনকে।নির্বাচনের প্লাস্টিকের ব্যবহার রোধে প্রথম উদ্যোগ নেয় কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বিগত কমিশন। তবে সেই কমিশনও কোনো আইন না করে কেবল নির্দেশনার মধ্যে সীমিত ছিল।এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেছেন, আইন ও বিধি সংশোধন সংক্রান্ত একটি কমিটি আছে আমাদের। সেই কমিটি বেশ কিছু প্রস্তাব এনেছে। কমিশনে অনুমোদন পেলে এগুলো সংশোধনী আকারে বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত হবে।নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর এ বিষয়ে বলেন, বিধিমালায় কিছু কিছু জায়গায় অসংগতি আছে, কিছু অস্পষ্টতা আছে, সেগুলোর বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল। তারা যে প্রস্তাব দেবে সবগুলোই যে গ্রহণ করবো তাও নয়। এটা কমিশন বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে।ইতিমধ্যে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রথম ধাপে ৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১১ মে, তৃতীয় ধাপে ১৮মে ও চতুর্থ ধাপে ২৫ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিতহ হবে। প্রথম ধাপে ১৫৩টি, দ্বিতীয় ধাপে ১৬৫টি, তৃতীয় ধাপে ১১১টি ও চতুর্থ ধাপে ৫২টি; মোট ৪৮১টি উপজেলা ভোটের সময় ঘোষণা করেছে ইসি। দেশে বর্তমানে উপজেলা রয়েছে ৪৯৫টি।