র-স্পোর্টস ডেস্কঃ বাংলাদেশ: ১৭.৪ ওভারে ১০৫/১০ লক্ষ্য- ১১৬ (লিটন ৫৪*, তানজিদ ০, নাজমুল হোসেন ৫, সাকিব ০, সৌম্য ১০, হৃদয় ১৪, মাহমুদউল্লাহ ৬, রিশাদ ০, তানজিম ৩, তাসকিন ২, মোস্তাফিজ ০)
ফল: আফগানিস্তান বৃষ্টি আইনে ৮ রানে জয়ী।আফগানিস্তান ২০ ওভারে ১১৫/৫ (রশিদ খান ১৯*, জানাত ৭*, ওমরজাই ৫*; ইব্রাহিম ১৮, ওমরজাই ১০, গুরবাজ ৪৩, গুলবাদিন ৪, নবী ১)
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিতে যাওয়ার লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ, আফগানিস্তানও ছিল। কিন্তু সব কিছুই নির্ভর করছিল নানা হিসেব নিকেশে। আফগানদের ১১৫ রানে থামিয়ে সেই লক্ষ্য ১২.১ ওভারে টপকালে শেষ চারে যাওয়ার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। আর আফগানদের শুধু প্রয়োজন ছিল জয়। বাংলাদেশ ১২.১ ওভারে লক্ষ্য টপকানো দূরের কথা, সান্ত্বনার জয়টিও তুলে নিতে পারেনি। সম্ভাবনা জাগিয়েও দলটি বৃষ্টি বিঘ্নিত রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ৮ রানে হেরেছে। তাতে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে যাওয়ার গৌরব অর্জন করেছে রশিদ খানের দল। তাদের জয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ারও বিদায় নিশ্চিত হয়েছে।
প্রথমে লক্ষ্য ছিল ১১৬। ১১.৩ ওভারে বৃষ্টি বাধার পর কমে যায় এক ওভার। তখন বৃষ্টি আইনে নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৯ ওভারে ১১৪। ঠিক তার আগেই ১১তম ওভারে বাংলাদেশকে এলোমেলো করে দেন রশিদ খান। জোড়া আঘাতে পর পর মাহমুদউল্লাহ-রিশাদের উইকেট তুলে আফগানদের ম্যাচে ফেরান তিনি।
অথচ লিটন দাস শুরু থেকে যেভাবে খেলছিলেন, তখন তার যোগ্য সঙ্গী কেউ হতে পারলে এই ম্যাচ অন্তত জিতে মাঠ ছাড়তে পারতো বাংলাদেশ। কিন্তু ব্যাটাররা রশিদ খান ও নাভিন উল হকের বোলিংয়ে পরে খেই হারিয়েছে। ১৭.৫ ওভারে ১০৫ রানে থেমেছে বাংলাদেশ। একার লড়াইয়ে লিটন ৪৯ বলে ৫৪ রানে অপরাজিত থেকেছেন। তাতে ছিল ৫টি চার ও ১টি ছয়ের মার।
রূপকথার জন্ম দিয়ে সেমি নিশ্চিত করা আফগানদের ব্যাটাররা লো স্কোর করলেও সেটা ডিফেন্ড করতে অসাধারণ বোলিং করেছেন তারা। গ্রুপ-১ থেকে ৩ ম্যাচে দুই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে তারা গ্রুপ রানার্স আপ হয়ে শেষ চারের টিকিট কেটেছে। ভারত ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। তিনে থেকে বিদায় নেওয়া অজিদের পয়েন্ট ২। বাংলাদেশ ৩ ম্যাচে জয়হীন থেকে বিশ্বকাপ শেষ করেছে।
২৩ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন রশিদ খান। ২৬ রানে নাভিন উল হকও নিয়েছেন চারটি। ম্যাচসেরা তিনি। একটি করে নিয়েছেন ফজল হক ফারুকি ও গুলবাদিন নাইব।
তাসকিনের বিদায়ে পড়লো নবম উইকেট
লিটনকে বেশ কিছুক্ষণ সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তাসকিন। কিন্তু ১৭.৪ ওভারে এসেই তাসকিনকে বোল্ড করেছেন নাভিন। তার বিদায়ে পড়েছে নবম উইকেট।
৪১ বলে লিটনের ফিফটি
বাকিদের ব্যর্থতার দিনে এখনও আশার আলো হয়ে ছিলেন লিটন। ৪১ বলে তুলে নিয়েছেন ফিফটি।
তানজিমের বিদায়ে পড়লো অষ্টম উইকেট
৭ উইকেট হারালেও বাধা হয়েছিলেন লিটন দাস। এখনও ক্রিজে আছেন তিনি। কিন্তু চাপের সময় তাকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি তানজিম হাসান। দলের ৯২ রানের সময় গুলবাদিন নাইবের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। তাতে ১০ বলে ৩ রানে শেষ হয়েছে তানজিমের ইনিংস।
সেমিতে যাওয়ার সুযোগ হারালো বাংলাদেশ
সেমিতে যেতে হলে ১২.১ ওভারেই লক্ষ্য টপকাতে হতো বাংলাদেশকে। কিন্তু ১৩ ওভারের মধ্যে এলোমেলো হয়ে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং। ৭ উইকেটে ৮৮ রান তুলতে পেরেছে। তাতে শেষ চারের সুবর্ণ সুযোগ হারিয়েছে লাল-সবুজ দল।
রশিদের জোড়া আঘাতে নেই বাংলাদেশের ৭ উইকেট
লিটন শুরু থেকে প্রান্ত আগলে খেললেও যোগ্য সঙ্গী পাচ্ছেন না। নতুন নামা মাহমুদউল্লাহও ব্যর্থ হয়েছেন। রশিদের বলে মেরে খেলার চেষ্টায় ৯ বলে ৬ রানে গ্লাভসবন্দী হয়েছেন তিনি। তখনও বাংলাদেশের জয়ের জন্য প্রয়োজন ৫৫ বলে ৩৬ রান। শুরুতে অবশ্য আম্পায়ার আউট দেননি। রিভিউ নেওয়াতেই মেলে সাফল্য।
কঠিন চাপে থাকা অবস্থায় পরের বলেই আরেকটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। রশিদের বলে বোল্ড হন রিশাদ হোসেন। তাতে পরে সপ্তম উইকেট।
জীবন পাওয়ার পরের ওভারেই আউট হৃদয়
৪ উইকেট পড়ে যাওয়ায় চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ৭.৪ ওভারে ক্যাচ তুলেছিলেন হৃদয়। কিন্তু সেটি নিতে পারেননি ফজল হক ফারুকি। তার পর দুটি চার মেরে দারুণ কিছুর বার্তা দিচ্ছিলেন। পরের ওভারেই রশিদ খানকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়েছেন তিনি। তাতে ৯ বলে ১৪ রানে থেমেছে হৃদয়ের ইনিংস। তাতে ছিল ২টি চার।
জীবন পেলেন হৃদয়
৪ উইকেট পড়ে যাওয়ায় চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ৭.৪ ওভারে ক্যাচ তুলেছিলেন হৃদয়। কিন্তু সেটি নিতে পারেননি ফজল হক ফারুকি।
রশিদের ঘূর্ণিতে বোল্ড সৌম্য
২৩ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টায় ছিলেন লিটন-সৌম্য। লিটন একটু আগ্রাসী ভঙ্গিতে খেলছিলেন। সৌম্য চেষ্টা করলেও বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি। তাকে দলের ৪৮ রানে বোল্ড করেছেন রশিদ খান। ১ চার মারা সৌম্য ১০ বলে ১০ রান করেছেন।
পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেটে বাংলাদেশের ৪৬
দ্বিতীয় দফার বৃষ্টি বাধার পর শুরু হয়েছে খেলা। তার আগে বাংলাদেশ ৩ উইকেট হারালেও পাওয়ার প্লেতে সচল ছিল রানের চাকা। যোগ করেছে ৪৬ রান।
শান্ত-সাকিবের আউটের পর বৃষ্টি
লিটন দারুণ শুরু করলেও টপ অর্ডার আবার ব্যর্থ হয়েছে। তানজিদ রানের খাতা না খুলেই ফিরেছেন। তৃতীয় ওভারে পর পর দুই বলে নাজমুল শান্ত, সাকিব আল হাসানকে ফিরিয়ে তাদের বিপদে ফেলেছেন নাভিন উল হক। দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে হঠাতই চাপে বাংলাদেশ। শান্ত মেরে খেলতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ হয়েছেন ৫ রানে। সাকিব অবশ্য লিডিং এজ হয়ে সরাসরি নাভিনের হাতেই তালুবন্দি হয়েছেন গোল্ডেন ডাকে। তাদের আউটের পর ৩.২ ওভারে বৃষ্টি নামলে আবার বন্ধ হয়ে যায় খেলা।
লিটন আক্রমণাত্মক সূচনা করলেও আউট তানজিদ
শুরুটা আক্রমণাত্মক করেছে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই লিটন দাস আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ১৩ রান তুলেছেন। কিন্তু ওপেনিং জুটি বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি। দ্বিতীয় ওভারেই ফারুকির বলে লেগবিফোরে আউট হয়ে ফিরেছেন ওপেনার তানজিদ হাসান। তিন বল খেললেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি।
বৃষ্টি থামার পর ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
বেশ কিছুক্ষণ বৃষ্টি বাধা হয়ে থাকলেও থেমেছে বৃষ্টি। বাংলাদেশ ব্যাট করতেও নেমেছে। তবে কাটা যায়নি কোনও ওভার। প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিতে যেতে হলে ১১৬ রানের লক্ষ্য ১২.১ ওভারে তাড়া করতে হবে বাংলাদেশকে।
থেমেছে বৃষ্টি
আফগানদের ১১৫ রানে থামানোর পর বৃষ্টি বাধা হয়েছিল কিছুক্ষণ। যদিও পরে কিংসটাউনে বৃষ্টি থেমেছে। সরানো হয়েছে কাভার।
আফগানদের ১১৫ রানে থামানোর পর বৃষ্টির বাধা
টস জিতে ব্যাটিং নিলেও বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে পেরে ওঠেনি আফগানিস্তান। দারুণ বোলিংয়ে রশিদ খানদের চাপে রাখতে পেরেছে। তাতে আফগানদের ৫ উইকেটে ১১৫ রানে থামাতে পেরেছে বাংলাদেশ দল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যেতে হলে এই লক্ষ্য শান্তদের ১২.১ ওভারে তাড়া করতে হবে। নাহলে শেষ চারে চলে যাবে অস্ট্রেলিয়া। বিপরীতে আফগানরা জিতলেই প্রথমবারের মতো সেমি নিশ্চিত করবে।
টস হারলেও শুরু থেকে দারুণ বোলিংয়ে আফগানদের আটকে রাখতে পেরেছে বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতেও এসেছে মাত্র ২৭ রান। দুই ওপেনার জাদরান-গুরবাজ ৫৯ রানের জুটি গড়েছিলেন। কিন্তু সেটা ছিল ভীষণ ধীর গতির। তাতে চাপটা গিয়ে আরও বাড়ে তাদের। সেই চাপে মেরে খেলার চেষ্টা করতে গেলে দ্রুত সময়ে উইকেট হারিয়ে আরও বিপদে পড়ে তারা। ৮৪ রানে দুই উইকেটের পর ৯৩ রানে পড়েছে পঞ্চম উইকেট। শেষ দিকে রশিদ খানের ক্যামিও ঝড়ে স্কোর ৫ উইকেটে ১১৫ রান পর্যন্ত গেছে। বল হাতে আফগানদের মূলত বিপদে ফেলেছেন মূলত রিশাদ হোসেন। ২৬ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। একটি করে নিয়েছেন তাসকিন ও মোস্তাফিজ। তবে তাসকিন ছিলেন সবচেয়ে বেশি কৃপণ। একটি মেডেনে ১২ রান দিয়েছেন। মোস্তাফিজ দিয়েছেন ১৭ রান। সবচেয়ে বেশি রান খরচ করেছেন তানজিম সাকিব। ৩৬ রান দিয়েও উইকেটহীন ছিলেন তিনি।
তাসকিনের আঘাতে ফিরলেন মোহাম্মদ নবীও
মোস্তাফিজের পর রিশাদের জোড়া আঘাতেই বিপদে বাড়ে আফগানিস্তানের। অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবী তাদের সেখান থেকে উদ্ধার করতে পারেননি। তাসকিনের ১৭.৪ ওভারে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে খেই হারিয়েছেন। শট খেলার চেষ্টা করতে গেলে টপ এজ হয়ে মাত্র ১ রানে ধরা পড়েছেন অধিনায়ক নাজমুল শান্তর হাতে।
মোস্তাফিজ-রিশাদের আঘাতে আরও চাপে আফগানিস্তান
ওপেনিং জুটি ভাঙার পর বাংলাদেশের দারুণ বোলিংয়ে রান পেতে সমস্যা হচ্ছিল আফগানদের। তাতে চাপ আরও বাড়ে আফগানদের। সেই চাপের কাছে নতি স্বীকার করে ১৫.৫ ওভারে কাট করতে গিয়ে গ্লাভসবন্দি হয়ে ফিরেছেন ওমরজাই (১০)। শুরুতে আম্পায়ার আউট দেননি। রিভিউ নেওয়াতেই মেলে সাফল্য। পরের ওভারে রিশাদের জোড়া আঘাতে আরও বিপদ বাড়ে তাদের। প্রথম বলে মেরে খেলতে গিয়ে ক্যাট আউট হন শুরু থেকে প্রান্ত আগলে থাকা গুরবাজ। ফেরার আগে ৫৫ বলে ৪৩ রান করেছেন তিনি। তাতে ছিল ৩টি চার ও ১টি ছয়। একই ভুল করেন নতুন নামা গুলবাদিনও। চতুর্থ বলে রিশাদকে মেরে খেলতে গিয়ে একই ওভারে ৪ রানে ক্যাচ আউট হন আফগান অলরাউন্ডার।
ওপেনিং জুটি ভাঙলেন রিশাদ
ওপেনিং জুটি ভাঙতে পারছিল না বাংলাদেশ। বরং তাদের হতাশ করছিলেন ইব্রাহিম জাদরান ও রহমানউল্লাহ গুরবাজ। জাদরান তো একবার জীবনও পেয়েছেন। সেই জাদরানকেই ১১তম ওভারে বিদায় দিয়ে শুরুর জুটি ভেঙেছেন লেগ স্পিনার রিশাদ। রানের গতি বাড়াতে মেরে খেলার চেষ্টায় ছিলেন আফগান ওপেনার। ফলাফল লং অফে তানজিম সাকিবের তালুবন্দি হয়ে জাদরান ১৮ রানে ফিরেছেন। তার ২৯ বলের ইনিংসে ছিল ১টি চার।
ওপেনিং জুটিতেই পঞ্চাশ ছাড়িয়েছে আফগানিস্তান
নিয়ন্ত্রিত বোলিং করলেও আফগানদের ওপেনিং জুটি ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশ। বরং ধীর গতিতে খেলে দুই ওপেনার গুরবাজ ও জাদরানের জুটি পঞ্চাশ রান ছাড়িয়েছে। টুর্নামেন্টে চতুর্থবার পঞ্চাশ রানের জুটি উপহার দিয়েছেন তারা। ৯ ওভারে বিনা উইকেটে যোগ করেছে ৫৪ রান।
বাংলাদেশের দারুণ বোলিংয়ে পাওয়ার প্লেতে আফগানদের ২৭
শুরু থেকেই বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে পেরে উঠেনি আফগানিস্তান। দুই ওপেনার সতর্ক থেকে খেলেছেন। দারুণ বোলিংয়ে সাকিবের ওভারে ক্যাচও তুলেছেন জাদরান। ক্যাচ হাতে নিতে পারেননি হৃদয়। সব মিলিয়ে দারুণ বোলিংয়ে পাওয়ার প্লেতে যথেষ্ট রান পেতে দেয়নি বাংলাদেশ। আফগানিস্তান বিনা উইকেটে তুলতে পারে ২৭!
জাদরানকে জীবন দিলেন হৃদয়
বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ব্যাট হাতে শুরু থেকেই সতর্ক ছিলেন আফগান দুই ওপেনার গুরবাজ ও জাদরান। তাতে রানও এসেছে ধীর গতিতে। পঞ্চম ওভারে সাকিব আল হাসান বল করতে এলে তৃতীয় ডেলিভারিতে ব্রেক থ্রু এনে দেওয়ার মুহূর্তও তৈরি করেছিলেন। কিন্তু ইব্রাহিম জাদরানের ক্যাচ শর্ট কাভারে গেলেও সেটি হাতে জমাতে পারেননি তাওহীদ হৃদয়। জাদরান তখন ৯ রানে ব্যাট করছিলেন।
ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে দুই পরিবর্তন
শেষ বেলায় এসে জমে উঠেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটের খেলা। বিশেষ করে গ্রুপ -১ এ এখন অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশেরও সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ আছে। সেটি করতে মেলাতে হচ্ছে নানা হিসেব-নিকেশ। তার আগে কিংসটাউনে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছে আফগানিস্তান।
সুপার এইটের গ্রুপ ১-এ ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপসেরা ভারত সেমি নিশ্চিত করেছে। তাদের নেট রানরেট ২.০১৭। ১ জয় এবং -০.৩৩১ নেট রানরেট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে অস্ট্রেলিয়ার সেমিতে যাওয়ার সুযোগ আছে এখনও। সেক্ষেত্রে মিচেল মার্শদের তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে আজকের বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচের দিকে। বিশেষ করে বাংলাদেশের হাতেই অস্ট্রেলিয়ার ভাগ্য ঝুলে আছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে নাজমুল হোসেন শান্তদের জয়ই পারে তাদের পরের ধাপে নিতে। সেক্ষেত্রে রান রেটে অজিদের চেয়ে পিছিয়ে থাকলেই সেটা সম্ভব হবে। তবে বাংলাদেশ যদি ৬২ (প্রথম ইনিংসে ১৬০ রান ধরে) রানে বা চেজ করতে গিয়ে (ওই একই রান) ১২.৫ ওভারে জেতে, তখন শান্তরা সেমিতে চলে যাবে। অর্থাৎ ব্যবধানটা অনেক বড় হলেই তা সম্ভব। বিপরীতে আফগানিস্তান জিতে যায়, তাহলে অজিরা বিদায় নেবে। সেক্ষেত্রে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনাল খেলবে রশিদ খানরা। এই মুহূর্তে আফগানিস্তানের ১ জয় এবং -০.৬৫০ নেট রানরেট। আর এখনও জয়হীন বাংলাদেশের রানরেট -২.৪৮৯।
একাদশে কারা
বাংলাদেশ দল শেষ ম্যাচে দুটি পরিবর্ত এনেছে। আফগান দলে অবশ্য কোনও পরিবর্তন নেই। ফেরানো হয়েছে তাসকিন আহমেদ ও সৌম্য সরকারকে। বাদ পড়েছেন জাকের আলী ও মেহেদী হাসান।
বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান, সৌম্য সরকার লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, রিশাদ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ।
আফগানিস্তান একাদশ: রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, গুলবাদিন নাইব, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবী, করিম জানাত, রশিদ খান (অধিনায়ক), নানগেয়ালিয়া খারোটে, নূর আহমেদ, নাভিন-উল-হক, ফজল হক ফারুকি।