নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামবে পুলিশ। সড়কে পণ্য পরিবহনের গাড়িতে চাঁদাবাজি বন্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হবে। কেউ বাজার অস্থিতিশীল করলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুরে ডিএমপির সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। ডিএমপি কমিশনার বলেন, ব্যবসায়ীদের পণ্য কেনাবেচার রশিদ সংরক্ষণ করতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তিনি বলেন, যারা বাজার অস্থিতিশীল করতে কাজ করছে, সেই সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। যেকোনো সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার সক্ষমতা ডিএমপির আছে। আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ে কাজ করব। পণ্য কেনার সময় ব্যবসায়ীদের রশিদ সংগ্রহ করতে হবে। কারো রশিদ না থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। উৎপাদনকারী, ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের বাজার নিয়ন্ত্রণে একসঙ্গে কাজ করতে হবে, যাতে কোনো সিন্ডিকেট বাজার অস্থিতিশীল করতে না পারে।হাবিবুর রহমান বলেন, ব্যবসায়ীদের যেমন রশিদ সংগ্রহ করতে হবে, তেমনি ভোক্তারা যদি চায়, সে রশিদ দেখতে পারবে। এভাবে একযোগে কাজ করে আমরা নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়।প্রধানমন্ত্রী বাজারের খোঁজ-খবর রাখেন, উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাজারের বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখেন। বাজার পরিস্থিতি ঠিক আছে কি না, তা জিজ্ঞেস করেন। নিত্যপণ্য আনা-নেওয়ার সময় চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে হাবিবুর রহমান বলেন, আগে রাস্তায় পণ্যবাহী গাড়িতে চাঁদাবাজির দৃশ্য দেখা যেত। বর্তমানে রাস্তায় কোনো হয়রানি বা চাঁদাবাজি দেখা যায় না। তারপরও কেউ অভিযোগ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সময় বিভিন্ন বাজার কমিটির প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তারা বাজার নিয়ন্ত্রণে তাদের মতামত তুলে ধরেন।