জাতীয়রাজনীতিশিরোনাম

৩০ সেপ্টেম্বর

-ভোটার স্থানান্তরের আবেদন নিষ্পত্তির শেষ সময়-

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ  জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যেসকল নাগরিকগণ ভোটার এলাকা পরিবর্তনের জন্য আবেদন করেছে সে আবেদনগুলো আগামী শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) মধ্যে নিষ্পত্তির জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন নির্দেশনাটি সকল উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন। ইসি কর্মকর্তারা জানান,অনেকেই চাকুরী অথবা পড়াশোনারা নিজ এলাকার ভোটার হতে পারেন না। এক্ষেত্রে তাদের নানা রকম সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়।আবার নিজ এলাকার জনপ্রতিনিধি নির্বাচনেও ভোট দিতে পারেন না।একারণেই মূলত যারা ভোটার স্থানান্তর করতে ইতোমধ্যে আবেদন করেছে তাদের তাদের ভোটার তালিকায় যুক্ত করতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সময় বেঁধে দিয়ে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভোটার স্থানান্তর সংক্রান্ত আবেদন ইস্যুর সময় ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ এবং ভোটার স্থানান্তরের ইস্যুকৃত আবেদনসমূহ অনুমোদনের শেষ তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। সকল উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসার ও রেজিস্ট্রেশন অফিসারগণকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।গত ৭ সেপ্টেম্বর এক নির্দেশনায় সংসদ নির্বাচনের ভোটার তালিকা চুড়ান্ত করতে বাদ পড়া নাগরিকদের ভোটার হওয়ার এবং ভোটার এলাকা স্থানান্তরে ইচ্ছুকদের এলাকা পরিবর্তনের সুযোগ দেয় নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে ভোটার স্থানান্তরের আবেদনগুলোই ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিষ্পত্তি করবেন মাঠ কর্মকর্তারা।আগামী ২ নভেম্বর আসন ভিত্তিক চুড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। আর এর পররপই তফসিল দিয়ে ডিসেম্বরের শেষ অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করবে সংস্থাটি।সর্বশেষ ২০২২ সালের হালনাগাদ অনুযায়ী, দেশে ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪লাখ ৪৫ হাজার ৭২৪ জন। আর নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৪ হাজার ৮৭৯ জন। এছাড়া হিজড়া ভোটার রয়েছেন ৮৩৭ জন। তরুণ ভোটারদের অন্তর্ভূক্ত করার সুযোগ সৃষ্টি করায় এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। তাই এবার ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের সংখ্যা বাড়ছে পাঁচ শতাংশের মতো।প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জানিয়েছেন, নভেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিলের পর আগামী ডিসেম্বরের শেষ অথবা জানুয়ারি প্রথম সপ্তাহে ভোটগ্রহণ করা হবে।

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button