চার ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ ঘরে তুলেছে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচ স্রেফ নিয়মরক্ষার হলেও প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ ছিল। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে হতাশই করল টাইগাররা। শুরুর দিকের ব্যাটিং ব্যর্থতার পর নির্বিষ বোলিংয়ে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারল স্বাগতিকরা। রবিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলছে দুদল। বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় ম্যাচটি শুরু হয়। যেখানে প্রথমে ব্যাট করতে নামা টাইগাররা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ব্রায়ান বেনেট ও সিকান্দার রাজার ফিফটিতে ২ উইকেট হারিয়ে ও ৯ বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সফরকারীরা।এ ম্যাচে বাংলাদেশ দলে তিনটি পরিবর্তন হয়েছে। ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তাদের জায়গা করে দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান ও তানভির ইসলাম।১৫৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়ে শুরুটা ভালো করে। ৪.১ ওভারে ৩৮ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন দুই ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ও তাদিওয়ানাশে মারুমানি। অবশেষে এই জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। তার বলে জাকির আলী স্টাম্পিং করেন।
তবে এরপর বেনেট ও সিকান্দার রাজার দ্বিতীয় উইকেট জুটি বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। তারা ৬৬ বলে ৭৫ রান করেন। দুর্দান্ত ব্যাট করা ওপেনার বেনেট অবশেষে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে ফেরেন। তিনি ৪৯ বলে ৫টি চার ও সমান ছক্কায় ৭০ রান করেন।দুটি উইকেট পেলেই দারুণ এক মাইলফলকে পৌঁছাতে পারতেন সাকিব আল হাসান। তবে একটি উইকেটেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো তাকে। ২টি উইকেট হলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ৭০০ উইকেটের মালিক হতে পারতেন। কিন্তু এখন ৬৯৯ উইকেটে পেয়ে ৭০০’র অপেক্ষায় থাকতে হলো। এদিন অসাধারণ বল করা সাকিব ৪ ওভারে মাত্র ৯ রানে একটি উইকেট পেয়েছেন।বেনেট আউট হলেও উইকেটে অবিচল থাকেন অধিনায়ক রাজা। তিনি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকেই দলকে জেতান। ৪৬ বলে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৭২ রান করেন। জোনাথন ক্যাম্পেবেল ৮ রানে অপরাজিত থাকেন।টস হেরে এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নামা নামা বাংলাদেশ দ্বিতীয় ওভারে তানজিদ হাসানকে হারায়। ব্যক্তিগত ২ রানে ব্লেসিং মুজারবানির বলে তুলে মেরে ক্যাচ হন তিনি। এরপর ব্রায়ান বেনেট সৌম্য সরকার ও তাওহিদ হৃদয়কে মাঠ ছাড়া করেন।তবে এরপর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তারা চতুর্থ উইকেটে ৪৫ বলে ৬৯ রান তোলেন। ভালো খেললেও ইনিংস বড় করতে পারেননি শান্ত। ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে আউট হওয়ার আগে ২৮ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৬ রান করেন।১৭তম ওভারে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাকিব আল হাসান। ১৭ বলে একটি ছক্কায় ২১ রান করে লুক জঙ্গুয়ের বলে আউট হন তিনি। দলের একমাত্র হাফসেঞ্চুরি করা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও এপর দ্রুত ফেরেন। ৪৪ বলে ৬টি চার ও একটি ছক্কায় ৫৪ করেছেন তিনি। শেষ দিকে জাকের আলী ১১ বলে একটি চার ও ২টি ছক্কায় ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন।জিম্বাবুয়ে বোলারদের মধ্যে বেনেট ও মজারবানি ২টি করে উইকেট দখল করেন।