লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ বিএনপির ডাকা হরতালে লালমনিরহাটে সংঘর্ষের সময় আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাথার ডান পাশে আঘাত লেগে গুরুতর আহত হন জাহাঙ্গীর আলম। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে লালমনিরহাটের সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়।২৯ অক্টোবর দুপুর দেড়টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ওই নেতার নাম জাহাঙ্গীর আলম। তার বাড়ি মহেন্দনগর ইউনিয়নে। লালমনিরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, জাহাঙ্গীর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য। তিনি সক্রিয় রাজনৈতিক নেতা ছিলেন।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল-সন্ধ্যা হরতালকে কেন্দ্র করে মহেন্দনগর ইউনিয়নে বেলা ১১ টার দিকে বিএনপি অবস্থান নেয়। এ সময় শান্তি সমাবেশের জন্য জড়ো হতে থাকেন আওয়ামী লীগ, তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে মিছিল করার সময় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের লোকজন মুখোমুখি অবস্থানে চলে যায়। বাকবিতণ্ডার পর শুরু হয় সংঘর্ষ। এ সময় মাথার ডান পাশে আঘাত লেগে গুরুতর আহত হন জাহাঙ্গীর আলম।পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে লালমনিরহাটের সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে দেড়টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে লালমনিরহাট সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) স্বপন কুমার সরকার বলেন, ‘তার রাজনৈতিক পরিচয় আমরা নিশ্চিত করতে পারিনি। তবে খবর পেলাম তিনি রাজনীতি করতেন।’এদিকে লালমনিরহাটের রাজনৈতিক সহিংসতায় আদিতমারী উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। জেলায় আলাদা ঘটনায় আহত হয়েছে আট জন। রবিবার বেলা ১১টার দিকে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কের পাশে আদিতমারী উপজেলা বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।