Uncategorizedঅপরাধশিরোনাম

জমি দখল করেই কোটিপতি শাহাবুদ্দিন মাতবর

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ  আশুলিয়ার টঙ্গীবাড়ির  চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন মাতবর  নিজেকে আওয়ামীলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে  সাবেক স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ  শ্বাসনামলে সরকারী খাস জমিসহ মানুষের বসতভিটা দখল করে স্বল্প সময়ে হয়েছেন কোটিপতি। শাহাবুদ্দিন বিভিন্ন সময়ে আওয়ামিলীগ নেতাদের সাথে ছবি তুলে নিজেকে ক্ষমতাবান জাহির করতেন।যেন তার উপর কেউই ছিলেননা কথা বলার মত। সাধারন এলাকাবাসী তার ভয়ে থাকতেন তটস্থ। কখন কার উপর নেমে আসে শাহাবুদ্দিন মাতবরের খড়গ। আর প্রশাসনও ছিলেন চুপ। স্কুল,কলেজ,খেলারমাঠ, বসতভিটা যেখানেই পড়েছে তার চোখ সেখানেই তিনি চালিয়েছেন তার দখলদারী, চালিয়েছেন তার বাহিনী নিয়ে তান্ডব। তার এই ভয়াবহ  তান্ডবের শিকার হয়েছেন এলাকার সহজ সরল সাধারন বাসিন্দারা। এরুপ একজন ভুক্তভোগী আশুলিয়ার টঙ্গীবাড়ি গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেন টেপা বেপারীর ছেলে  জমির প্রকৃত মালিক মোঃ রশিদ বেপারী গং উক্ত বিষয়ে বলেন, গত ১০/০১/২০১৩ ইং তারিখে সকাল আনুমানিক ১১ ঘটিকার সময় শাহাবুদ্দিন মাতবর দেশীয় আস্ত্রসাজে সজ্জিত হয়ে তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে রশিদ বেপারির বাড়িতে অতর্কিত হামলা করে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে  বসতভিটা থেকে  তাদের এক কাপড়ে  বের করে দিয়ে ঘরবাড়ি দখল করে নেয়।

এই মর্মে গত ২৮ আক্টোবর ২০১৯ ইং তারিখে দেশের বহুল প্রচারিত দৈনিক “বাংলাদেশ প্রতিদিন “ প্রত্রিকায় “আশুলিয়ায় জমি দখলেই টাকা”  শিরোনামে একটি সংবাদ প্রচারিত হয়।  মোঃ রশিদ বেপারি গত ১৬/১২/২০২৩ তারিখে ভূমি অপরাধ প্রতিকার ও প্রতিরোধ আইন ২০২৩ এর আলোকে অবৈধভাবে দখলচ্যুত্যির ক্ষেত্রে জড়িত চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনসহ বসতভিটার দখল প্রাপ্তির আবেদন করে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে আবেদনপত্র জমা দেন। সেখানে উল্লেখ থাকে যে,জেলা- ঢাকা ,  থানা-সাভার , মৌজা-বড় আশুলিয়া, জে,এল নং-৬০২,খতিয়ান নং- ২৮৭, দাগ নং- ৪৪৬, শ্রেনী-নাল, জমির পরিমান- ১৯ শতাংশ,দাগ নং- ৫৬৬, শ্রেনী-বাড়ি, জমির পরিমান- ৩৬ শতাংশ, দাগ নং ৫৭২, শ্রেনী-চালা, জমির পরিমান-৩৩৪ শতাংশ, দাগ নং-৯৬১,শ্রেনী-বোর,জমির পরিমান- ৭১ শতাংশ। অত্র খতিয়ানে মোট জমির পরিমান ১০৭২ শতাংশ।  খতিয়ানের ০১ আনা করে ওয়ারিশ সূত্রে ৫৩৬ শতাংশের মালিক ছিলেন টেপু মাদবর,সরমাই বিবি, মিলি বেগম ও নূরজাহান বেগম যাদের পিতা সাদক শেখ ও দাদা দিনু শেখ। উক্ত ৫৩৬ শতাংশ জমি টেপু মাতবরের নামে RS রেকর্ড হয়। যাহা হইতে টেপু মাদবর ৫২ শতাংশ জমি মোঃ ওসমান গনি, পিতা-গোলাপদি,সাং-টঙ্গি বাড়ি যাহার নিকট বিক্রয় করেন । কিন্ত ওসমান গনির চাচাতো শ্যালক শাহাবুদ্দিন মাতবর জোর জবরদস্তি করে জমির প্রকৃত মালিককে বসতভিটা থেকে বিতাড়িত করে জমি দখলে নিয়ে গড়ে তুলেছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। কতটা নির্মমতা থাকলে যে চেয়ারম্যান জোরপূর্বক  পৌত্রিক বসতভিটা থেকে বিতাড়িত করে তাদের নিকট থেকেই  হোল্ডিং ট্যাক্স গ্রহন করে। এ যেন না খেয়েই চিড়ার দাম দেওয়ার শামিল । ভুক্তভোগী এই পরিবারটি মানবেতর জীবন যাপন করছেন অন্যের খুপড়িতে, চলছেন অন্যের সাহায্য নিয়ে। সাহায্য পাবার প্রার্থনা করে বিভিন্ন দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।

ভুমিদস্যু সাহাবুদ্দিন এর বিরুদ্ধে  রয়েছে একাধিক ভূমি দখলের অভিযোগ কিন্ত ক্ষ্মতাসীন দলের ছত্রছায়ায় থাকার কারনে থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহন করেননি তৎকালীন দ্বায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা। এমনকি সাধারণ ডায়েরিও গ্রহন করেননি।  আওয়ামিলীগ সরকার পতনের পর থেকে এই ভূমিদস্যু   চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিনের উপর হয়েছে একাধিক হত্যা মামলা । বর্তমানে পলাতক রয়েছে সে।   এই নির্যাতিত ,অসহায়, পৈত্রক বসতভিটা হারানো পরিবারটি  তাদের মানবেতর জীবন থেকে বের হয়ে  তাদের নায্য অধিকার ফিরে পেতে বর্তমান নিরপেক্ষ অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নিকট  তাদের বসতভিটা ফিরে পাবার ক্ষেত্রে যথাযথ আইনগত হস্তক্ষেপ কামনা করছে।

Related Articles

Back to top button