মেক্সিকোর প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউম
র-আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ মেক্সিকোর প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন ক্লদিয়া শিনবাউম। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন মোরেনা পার্টির এই প্রার্থী বিশাল ব্যবধানের জয় পেয়েছেন।মেক্সিকোর সরকারি নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে রাজধানী মেক্সিকো সিটির ৬১ বছর বয়সী সাবেক এই মেয়র ও জলবায়ু বিজ্ঞানী রোববারের নির্বাচনে ৫৮ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। মেক্সিকোর গণতান্ত্রিক ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ ভোটের হার।ক্ষমতাসীন জোট কংগ্রেসের উভয় কক্ষে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসন জিতেছে, যা নতুন সরকারকে বিরোধীদের সমর্থন ছাড়াই সাংবিধানিক সংস্কার পাস করার সুবিধা দেবে।বিরোধী প্রার্থী জোসিটল গালভেজ পরাজয় স্বীকার করেছেন। প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে, তিনি ৩০ শতাংশের কম ভোট পেয়েছেন।
‘মেক্সিকো প্রজাতন্ত্রের ২০০ বছরের ইতিহাসে শিনবাউম প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট’ মোরেনা পার্টির সমর্থকরা এমন ব্যানার দিয়ে মেক্সিকো সিটির প্রধান চত্বর উল্লাশ প্রকাশ করছেন।শিনবাউমের বিজয় মেক্সিকোর জন্য একটি বড় পদক্ষেপ। কারণ দেশটি তার মাচো সংস্কৃতির জন্য পরিচিত। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম রোমান ক্যাথলিক জনসংখ্যার জন্য পরিচিত মেক্সিকো বছরের পর বছর ধরে নারীদের মূল্যবোধ এবং ভূমিকাকে দূরে সরিয়ে রেখেছিল।শিনবাউম হলেন প্রথম নারী যিনি যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো বা কানাডার ইতিহাসে সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হলেন।মেক্সিকোর সবচেয়ে ছোট রাজ্য তলাক্সকালার একজন শিনবাউম সমর্থক ৮৭ বছর বয়সী এডেলমিরা মন্টিয়েল বলেন, ‘আমি কখনই ভাবিনি যে, একদিন আমি একজন নারীকে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাব।’শিনবাউম একজন বিজ্ঞানী। তিনি ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মেক্সিকো সিটির মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বিদায়ী প্রেসিডেন্ট লোপেজ ওব্রাদরের আর্শীবাদপুষ্ট প্রার্থী।
লোপেজ ওব্রাদর তুমুল জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও এবার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে নির্বাচনে যাননি। ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হন তিনি। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, ছয় বছরের মেয়াদে একবারই প্রেসিডেন্ট পদে থাকা যাবে। সাম্প্রতিক জরিপে দেখা যায়, লোপেজ ওব্রাদরের পক্ষে প্রায় ৬০ শতাংশ জনসমর্থন আছে। দারিদ্র হ্রাসে তার প্রচেষ্টা ও বয়স্ক মেক্সিকানদের সহায়তা দেশটিকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। জনপ্রিয় এই নেতা তার মোরেনা পার্টির প্রার্থী শিনবাউমের পক্ষে সর্বাত্মক সর্মথন দিয়েছিলেন। তার এই সমর্থন শিনবাউমের ভোটার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।মোরেনা পার্টির প্রেসিডেন্ট মারিও ডেলগাডো শিনবাউমের জয়কে দেশের ইতিহাসের একটি চমৎকার মুহূর্ত বলে অভিহিত করেছেন।