নিজস্ব প্রিতিবেদকঃ ঢাকাবাসীকে যানজটমুক্ত ও স্বল্প সময়ে চলাচলের পথ দেখিয়েছে দেশের প্রথম মেট্রোরেল। উত্তরা থেকে মতিঝিল নিত্যদিন যাদের সঙ্গী, যানজটে তারা পেয়েছেন স্বস্তিতে চলার নিশ্চয়তা। তাই এই পথে আস্থা এখন মেট্রোতেই। তবে চালুর পর নানা কারণে বেশ কয়েক দফা থমকে গেছে মেট্রোর চাকা।ডিএমটিসিএলের কন্ট্রোল রুম থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয় পুরো অপারেশন। সেখান থেকেই সার্বক্ষণিক যোগাযোগ হয় প্রতিটি ট্রেন আর স্টেশনের সঙ্গে। তবে রোববার প্রথমবারের মতো নতুন সমস্যা সামনে আসে, বিচ্ছিন্ন হয় কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে কোচের যোগাযোগ। আবার ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে কয়েক দফা ভুগতে হয় সোমবারও।যদিও এমন সমস্যা সব দেশেই হয় বলে দাবি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল)। কর্তৃপক্ষ বলছে, এ পর্যন্ত ওসিএস লাইনে ঘুড়ি, ফানুস কিংবা বিভন্ন সেবা সংস্থার তার পড়ে বেশ কয়েকবার ব্যহত হয়েছে স্বাভাবিক চলাচল। আবার নতুন শিডিউলে মানিয়ে নিতে কয়েক মিনিট এদিক-সেদিকও হয়েছে।
এছাড়া মেট্রোর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বলা আছে, বাতাসের সর্বোচ্চ গতি ১০৭ কিলোমিটার হলে বন্ধ করে দেওয়া হবে ট্রেন চলাচল। আবার রেল টেমপারেচার বা ট্রেন লাইনের তাপমাত্রা যদি ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হয় তাহলেও বন্ধ হবে ট্রেন।ডিএমটিসিএলের জিএম (অপারেশন) মো. ইফতিখার হোসেন বলেছেন, মেট্রোরেল চলাচলে বিভিন্ন দেশেই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। আমাদের দেশেও যখন যে সমস্যা ধরা পড়ছে সেটার যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সে বিষয়ে কাজ করচি। চলছে দক্ষ জনবল গড়ার কাজও। দুর্যোগের সময় মেট্রোরেল চলাচলে বিশেষ নির্দেশনা থাকবে বলেও জানান তিনি।অপারেশন প্রধান বলেন, টেকনিক্যাল জিনিস একটার সঙ্গে আরেকটা সম্পৃক্ত। তাই এক জায়গায় সমস্যা হলে সেটা অন্যটার ওপর প্রভাব ফেলে। দুবাই, দিল্লি, কলকাতা মেট্রোতেও এমন সমস্যা হয়।ধীরে ধীরে অবশ্য সমস্যাগুলো কমে আসছে। লোকজন প্রশিক্ষিত হয়ে গেলে এ ধরনের সমস্যা আরো কমে আসবে, যোগ করেন তিনি।রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার জন্য আরো নিজস্ব দক্ষ জনবল তৈরিতে প্রশিক্ষণ অব্যহত রয়েছে বলেও জানান মো. ইফতিখার হোসেন।