শিরোনাম
রাতেই ১৪ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির শঙ্কা, ধেয়ে আসছে ‘হামুন’


এর প্রভাবে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।আর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি সম্পর্কে জানানো হয়, গভীর নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৫৫ ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১০ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে।এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে কিনা, সেটি বুঝতে অপেক্ষা করতে হবে সোমবার দিবাগত রাত পর্যন্ত। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে বুধবার (২৫ অক্টোবর) নাগাদ ঘূর্ণিঝড় আকারে ‘হামুন’ দেশের সীমানা অতিক্রম করতে পারে। আপাতত সমুদ্রবন্দগুলোতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের ঘোষণা আসামাত্রই সংকেত বাড়িয়ে দেয়া হবে।আবহাওয়ার বুলেটিনে বলা হয়েছে, গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তার কাছাকাছি বাংলাদেশ উপকূলীয় এলাকায় এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
এ অবস্থায় সমুদ্রবন্দগুলোতে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে, যাতে অতি অল্প সময়ের নির্দেশনায় নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।এদিকে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ–আইএমডি ঘূর্ণিঝড় হামুন নিয়ে দেওয়া পূর্বাভাসে বলেছে, আজ রাতের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় হামুন বাংলাদেশ উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করবে। এখন পর্যন্ত গতিমুখ অনুযায়ী হামুন বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও পটুয়াখালীর খেপুপাড়া উপকূলের মাঝখান দিয়ে আঘাত করতে পারে। তবে এটি শেষ পর্যন্ত আদৌ আঘাত করবে কি না তা এখনো নিশ্চিত করেননি আবহাওয়াবিদেরা।আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, চলতি বছরের মে মাসে প্রথম ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশে প্রভাব ফেলে। গত বছরও আরেকটি ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং বাংলাদেশে উঁচু জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাসের মাধ্যমে প্রভাব ফেলেছিল। ঘূর্ণিঝড় হামুন সৃষ্টি হলে এটি হবে বছরের দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড়।বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা থেকে বিশ্বের বিভিন্ন সাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড়গুলোর আগাম নাম ঠিক করা হয়। হামুন নামটি দিয়েছেন ইরানের আবহাওয়াবিদেরা। পারসি শব্দ হামুন মানে সমুদ্রের মাঝে সৃষ্টি হওয়া সমতল এলাকা ও ছোট হ্রদ।