র-স্পোর্টস ডেস্কঃ মিরপুরে লম্বা সময় পর ফিরে এসেছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের পর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে সাদা বলের ক্রিকেট খেলেনি জাতীয় দল। দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশ ফিরল নিজেদের প্রিয় মাঠে। সেই ফেরায় স্বস্তির এক জয়ও এসেছে বটে। তবে রেখে গিয়েছে অনেক প্রশ্ন। চলতি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথমবার দেখা গেল প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ এক ম্যাচ। ব্যাটারদের ব্যর্থতার পর বোলারদের কল্যাণে সিরিজে টানা চতুর্থ জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ।বাংলাদেশের দেয়া ১৪৪ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং খুব একটা খারাপ হয়নি। তবে স্বাগতিক বোলাররাই বরং উপহার দিয়েছেন নিয়ন্ত্রিত বোলিং। তাতে জিম্বাবুয়ে লক্ষ্যের খুব কাছে গিয়ে থেমেছে আবারও। তাসকিন-সাকিব-মুস্তাফিজদের আঁটসাঁট বোলিংয়ের সুবাদে কল্যাণে ১৩৮ রানে শেষ হয়েছে সফরকারীদের ইনিংস। চতুর্থ ম্যাচে বাংলাদেশের জয় ৫ রানে।এরআগে, ১০১ রানে শূন্য উইকেট থেকে ১৪৩ রানে অলআউট। এমন মহাবিপর্যয়ের ব্যাটিং বাংলাদেশ দল সবশেষ কবে দেখেছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যেতেই পারে। সেটাও এমন এক দলের বিপক্ষে, যারা কিনা বিশ্বকাপেই জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হয়েছে। পুরো সিরিজে প্রশ্নবিদ্ধ ছিল বাংলাদেশের ব্যাটিং ইউনিট। মিরপুরের ইনিংসের প্রথম দিকটা দেখে খানিক আশা ভরসাও হয়ত পেয়েছিল টাইগার ক্রিকেটের ভক্তরা।
কিন্তু কীসের কী! মিরপুরের মহাবিপর্যয় বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টির ব্যাটিং সামর্থ্য নিয়েই যেন প্রশ্ন তুলেছে আরও একবার। তানজিদ তামিমের বিদায়ের পর থেকেই একের পর এক দায়িত্বহীন ব্যাটিং ইনিংস দেখেছে স্টেডিয়ামে জড়ো হওয়া হাজারো দর্শক। জিম্বাবুয়ের সামনে চতুর্থ ওয়ানডেতে টার্গেট মোটে ১৪৪ রান। ১০ ওভারে ৯০ করার পর টাইগারদের ইনিংস থেমেছে ১৯.৫ ওভারে। তানজিদ তামিমকে দিয়েই বিপর্যয়ের শুরু। ৩৪ বলে ফিফটি পূর্ণ করার পর তিনি লুক জঙওয়ের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়েছেন। যদিও নিজের কাজটা ঠিকই করে গিয়েছিলেন তিনি। ৫২ রানে ফেরেন এই ওপেনার। একই বোলারকে উইকেট দিয়েছেন সৌম্যও কিছুটা ধীরগতির ইনিংসে ৩৪ বলে ৪১ করে হয়েছেন এলবিডব্লু