নিউজস্ব প্রতিবেদকঃ সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ তাওহিদুর রহমান বাচ্চুর স্বাক্ষর জাল করে হাটিকুমরুল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের চেষ্টা করেছেন হাটিকুমরুল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ রিপন সরকার লিমন (রিপন)।এছাড়াও বিবাহিত এবং চাকরিজীবী হলে ছাত্রলীগের সদস্য পদে থাকার নিয়ম নেই। সরাসরি সংগঠনটির গঠনতন্ত্রেই রয়েছে এমন নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু গঠনতন্ত্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েই দুই বছর হলো অপূর্ণাঙ্গ ছাত্রলীগ কমিটির সভাপতি পদে রয়েছেন বহাল তবিয়তে।গত ২২ সালের ২৯ নভেম্বর ঘোষিত হয় সলঙ্গা থানা ছাত্রলীগের হাটিকুমরুল ইউনিয়নের শাখা কমিটি। সলঙ্গা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌহিদুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক রিপন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ওই কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়।১ বছরের জন্য কমিটি দেওয়া হলেও তা মেয়াদোত্তীর্ণ। এভাবেই খুড়িয়ে চলছে হাটিকুমরুল ইউনিয়ন ছাত্রলীগ। বিলুপ্ত বা পুর্নাঙ্গ কমিটির কোনটিই হচ্ছে না ছাত্রলীগের এই ইউনিটে। ফলে ঝিমিয়ে পড়ছে হাটিকুমরুল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ত্যাগী নেতা-কর্মীরা।অভিযোগ উঠেছে, ঘোষিত ওই কমিটির সভাপতি মোঃ আবু সায়েম ২০২৩ সালে বিয়ে করেন। সে সংসার না টেকায় আবারও পূনরায় বিয়ে করে সংসার শুরু করেন। পাশাপাশি হাটিকুমরুল ইউনিয়নের মওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশ বিজ্ঞান দাখিল মাদ্রাসার বেতন ভুক্ত নৈশ্য প্রহরী হিসেবে চাকুরী করছেন।
হাটিকুমরুলের ইউনিয়ন ছাত্রলীগের অধিকাংশ নেতাকর্মীরা জানান, গত দুই বছর পার হলেও সভাপতি মোঃ আবু সায়েম ও সাধারণ সম্পাদক রিপন সরকার লিমন (রিপন) একটিও ওয়ার্ড কমিটি ও ইউনিয়ন পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারেনি। তাছাড়া সভাপতি হওয়ার আগেই চাকুরিজীবি, দুইটা বিয়ে করে সংসার করা মাদকাসক্তসহ নানান সমস্যায় জর্জরিত।নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাটিকুমরুল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের পদ প্রত্যাশীরা জানান, সারাদিন-রাত মাদক সেবিদের সাথে মাদক সেবন করে। যার কারণে তরুণ প্রজন্ম ইউনিয়ন ছাত্রলীগ করতে বিমুখ হচ্ছে।তারা আরও জানান, একজন বিবাহিত চাকুরীজীবি ও মাদক সেবনকারী দিয়ে ছাত্রলীগের মত সংগঠন কিভাবে চলছে।
সলঙ্গা থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রিপন সরকার ও হাটিকুমরুল ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক রিপন সরকার লিমন (রিপন)’র যোগসাজেশে সভাপতি তৌহিদুর রহমানের স্বাক্ষর জাল করে মাদক মামলার আসামী, চাঁদাবাজি মামলার আসামি, এমন কি সলঙ্গা থানা পুলিশ বাদী হয়ে পুলিশ আহত মামলার আসামি, মাদকাসক্ত, ওয়ার্ড ছাত্রদল এবং শিবিরের নেতা-কর্মী দিয়ে কমিটি করার চেষ্টা করলে বিষটি জানাজানি হওয়ায়, সেটা গোপন করে ফেলে। এছাড়াও এই কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদ নিতে ইচ্ছুকদের গুনতে হচ্ছে মোটা অংকের টাকা।
হাটিকুমরুল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ আবু সায়েম ও সাধারণ সম্পাদক রিপন সরকার লিমন (রিপন)’র সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তারা কেউই ফোন রিসিভ করেন নাই।মুঠোফোনে সলঙ্গা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌহিদুর রহমান বাচ্চু জানান, কমিটি দেওয়ার পর বিয়ে ও চাকরি হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।পূর্নাঙ্গ কমিটির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, কমিটির কাগজ দিয়েছে যাচাই-বাছাই চলছে।