নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। আহতদের মধ্যে তিন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।বহিরাগত এক নারী হঠাৎ স্কুলে ঢুকে ছুরিকাঘাত করেছে বলে জানা গেছে।১১ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ক্লাস চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।হাসপাতালে ভর্তি তিন শিক্ষার্থী হলো- সেতু , মিতু ও রাবেয়া। তারা তিনজনেই ওই বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। এরমধ্যে ছুরির আঘাতে সেতুর বাম হাত, মিতুর পিঠ ও রাবেয়ার দুই পা ও মাথায় জখম হয়। আহত অপর দুই শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।এদিকে, এ ঘটনার পর স্থানীয়রা অভিযুক্ত ওই নারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। আটক নারীর নাম জান্নাতী আকতার (২১)। তিনি সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের আশিক মিয়ার স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনের মতো স্কুলে মেয়েদের ক্লাস চলছিল। ক্লাস চলার ফাঁকে কয়েকজন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ের বারান্দা বসে গল্প করছিল। এসময় হঠাৎ এক নারী বিদ্যালয়ে ঢুকে তার হাতে থাকা ধারালো একটি ছুরি দিয়ে শিক্ষার্থীদের আঘাত করতে থাকে। পরে বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ওই নারীকে আটক করে। তবে উপস্থিত কেউ কেউ ওই নারীকে মানুষিক ভারসাম্যহীন বলে দাবি করেছেন।সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম (শফিক) ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।তিনি জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত ওই নারীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এসময় তার কাছে একটি দেশীয় একটি ছুরি (চাকু) জব্দ করা হয়। তবে কী কারণে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন তা জানতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।