র-নিউজ ডেস্কঃ আশ্বিন চলে যাচ্ছে। হেমন্তের শুরুতে এসে রাতে মিলছে হিমেল হাওয়া।দিনের বেলাও ত্বকে পড়ছে টান। যেন কড়া নাড়ছে শীত।ঋতুর হিসেবে শীতকাল আসতে আরও দু’মাস বাকি। তবে আবহাওয়া অফিস বলছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু তথা বর্ষা দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে বিদায় নিয়েছে। আর সেই স্থানে এসে পূরণ হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে উত্তর-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু, যা হিমালয় থেকে নিয়ে আসছে ঠাণ্ডা বাতাস। ফলে রাতের শীতের আভাস মিলছে। বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলে সকাল-বিকেল কুয়াশাও পড়তে শুরু করেছে। রাতে গায়ে নিতে হচ্ছে অপেক্ষাকৃত মোটা কাপড়। ইতোমধ্যে উত্তরের জেলা হিমালয় কন্যা পঞ্চগড়ে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত অনুভূত হতে শুরু করেছে শীতের পরশ। ঘাসের ডগায় জমছে শিশির বিন্দু। পায়ের স্পর্শে অনুভূত হচ্ছে ঠান্ডা। শনিবার (১৪ অক্টোবর) ভোরে বিভিন্ন জায়গায় দেখা মিলছে কুয়াশা। ফসলের মাঠে উঁকি দিচ্ছে নতুন বীজের প্রস্ফুটিত চারা। তাতে শিশির বিন্দু ছড়িয়ে দিচ্ছে মৃদু শীতলতা। স্থানীয়রা জানান, ভোরে বেশ কুয়াশা পড়ছে। এখন আর রাতে ফুল স্পিডে ফ্যান চালানো যাচ্ছে না। রাতে কাথা/পাতলা কম্বল জড়াতে হচ্ছে শরীরে। ভোর পর্যন্ত শীতের পরশ অনুভব হচ্ছে। তবে ঘন কুয়াশা এবং তীব্র শীত আসতে দেরি আছে।শুক্রবার রাতে কয়েকজন পর্যটক বলেন, আমরা কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে এসেছিলাম। এখানে এখনই শীতের পরশ পাচ্ছি। অথচ ঢাকা ও দক্ষিণাঞ্চলে এখনো গরম। এ অঞ্চলে শীত আগে আসে তা মনে হচ্ছে।এদিকে শীতের আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, লাউ, টমেটো, লাল শাকসহ বিভিন্ন ধরনের আগাম শীতকালীন সবজি চাষ হয়েছে।জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক সামি উজ জামান বলেন, তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। শীতের আগমন ঘটছে। শনিবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ২২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে।