র- বিনোদন ডেস্কঃ ভালোবেসে বিয়ে করলেও একসঙ্গে থাকেন না বলিউডের বরেণ্য তারকা দম্পতি ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনী। ভারতীয় একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন হেমা মালিনী।
এ সাক্ষাৎকারে হেমা মালিনীকে বলা হয় আপনি নারীবাদের প্রতীক। কারণ বিয়ের পর আপনি আপনার নিজের বাড়িতে থাকতেন এবং থাকেন। আর ধর্মেন্দ্র থাকেন অন্যবাড়িতে। এ প্রসঙ্গে হেমা মালিনী বলেন— ‘নারীবাদের প্রতীক? আসলে এমনটা কেউ চায় না। এটা ঘটে যায়; যা আপনাকে মেনে নিতে হবে। তা ছাড়া কেউ এটা বুঝবেন না যে তারা তাদের জীবনে এভাবে বাঁচতে চায় না। প্রতিটি নারী একটি স্বাভাবিক পরিবার চায়, স্বামী-সন্তান চায়। কিন্তু কোথাও এটা সেই সবের বাইরে চলে যায়।’ এটা নিয়ে হেমা মালিনীর কোনো দুঃখবোধ নেই। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘এটা নিয়ে আমার কোনো খারাপ অনুভূতি নেই। এটা নিয়ে কোনো খারাপ লাগা বা দুঃখবোধ নেই। আমি নিজেকে নিয়ে খুশি। আমার দুটি সন্তান আছে, আমি ওদের খুব ভালো করে মানুষ করেছি। অবশ্যই, তিনি (ধর্মেন্দ্র) সবসময় আমার সঙ্গেই সেখানে ছিলেন। আসলে সবসময় তিনি বাচ্চাদের বিয়ে নিয়ে চিন্তিত ছিলেন।’ ১৯৫৪ সালে প্রকাশ কৌরকে প্রথম বিয়ে করেন ধর্মেন্দ্র, তখন তার বয়স ১৯ বছর। ওই সময়ে চলচ্চিত্রে পা রাখেননি তিনি। এ সংসারে দুই পুত্র সানি দেওল, ববি দেওল এবং দুই কন্যা অজিতা দেওল এবং বিজয়তা দেওলের জন্ম হয়। ১৯৭০ সালে ‘তুম হাসিন ম্যায় জওয়ান’ সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেন হেমা মালিনী-ধর্মেন্দ্র। এ সিনেমার শুটিং সেটে তাদের প্রথম দেখা হয়। সেখান থেকে মনের লেনাদেনা শুরু। যদিও তখন প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিয়েবিচ্ছেদ হয়নি ধর্মেন্দ্রর। সবকিছু উপেক্ষা করে ১৯৮০ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এই প্রেমিক জুটি। ১৯৮১ সালের ২ নভেম্বর গোপনে এষাকে জন্ম দেন হেমা মালিনী।