Uncategorized

২৩ নাবিকসহ জিম্মি দশা থেকে মুক্ত হলো এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ

অপেক্ষার রুদ্ধশ্বাস প্রহর শেষ হলো। সোমালিয়ান জলদস্যুদের সাথে অবশেষে হলো চুড়ান্ত সমঝোতা। মুক্তিপণ দিয়েই জিম্মি থাকা ২৩ নাবিক ও এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ মুক্ত হয়েছে। সোমালিয়ার উপকূল থেকে মুক্ত হয়ে জাহাজটি রওনা হয়েছে আরব আমিরাতের দিকে। এদিকে জলদস্যুদের সাথে বোঝাপড়া চুড়ান্ত হওয়ার কথা স্বীকার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্টও করেছে কেএসআরএম গ্রুপের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত। নতুন বছরের শুরুর দিনই এমন সুসংবাদ দিলেন তিনি। এটা নিয়ে আজ রোববার দুপুর ১২ টায় সংবাদ সম্মেলনও করতে যাচ্ছে জাহাজটির মালিকপক্ষ।

এক ঘন্টা আগে দেয়া এক ফেইসবুক পোস্টে শাহরিয়ার জাহান রাহাত উল্লেখ করেন, ‘সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিন্মি থাকা ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ মুক্ত হয়েছে। নাবিকরা সবাই সুস্থ আছেন। শিগগির তারা দেশে ফিরবেন। ঈদ মোবারক। শুভ নববর্ষ।’

এদিকে মধ্যরাতে দেয়া এক ক্ষুদে বার্তায় মালিকপক্ষের মুখপাত্র ও মিডিয়া এডভাইজার মিজানুল ইসলাম জানান, আজ রোববার (১৪ এপ্রিল) সোমালিয়ান জলদস্যুদের কাছে জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর বিষয়ে কেএসআরএম করপোরেট কার্যালয়ে বেলা ১২ টায় এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘ জাহাজটি মুক্ত করা হয়েছে। এটি এখন আরব আমিরাতের দিকে যাচ্ছে। সেখানে পণ্য খালাস করবে আর নাবিকরা দেশে ফিরে আসবে শিগগির।’

এদিকে দু দিন আগে ‘জিন্মি ২৩ নাবিক সহসাই মুক্তি পাবেন’ বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে আটক এমভি আবদুল্লাহ’ জাহাজ ও নাবিকদের মুক্তি প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, ‘আমাদের প্রচেষ্ঠা আছে, সর্বমূখী প্রচেষ্ঠা পরিচালনা করা হচ্ছে। যারা হাইজ্যাক করেছে তাদের সাথে আলাপ আলোচনা চলছে। এবং নাবিকরা ভালো আছে। তাদের খাবার-দাবারেরও কোন অসুবিধা নেই, তারা কেবিনে আছে। যেহেতু আলোচনা অনেকদুর এগিয়েছে, আমরা আশা করছি সহসা তাদেরকে মুক্ত করা সম্ভবপর হবে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সেই জাহাজের আশেপাশে বিদেশী জাহাজও প্রস্তুত আছে। আলোচনার পাশাপাশি হাইজ্যাকারদের উপর নানামূখী চাপও রয়েছে। আমরা আশা করছি সহসা জাহাজ এবং নাবিকদের মুক্ত করা সম্ভব হবে। তবে দিনক্ষণ বলা সম্ভবপর নয়। এক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি আছে বলতে পারি।জাহাজে যারা চাকুরি করে ঈদের আগে পরে হিসেব করে তাদের কোন ছুটি হয়না। তারা যায় ছয়মাস কিংবা একবছরের জন্য। এই জাহাজ যদি হাইজ্যাক নাও হতো তারা ঈদের আগে জাহাজ ছেড়ে পরিবারের সাথে মিলিত হবার কথা ছিল না।’

চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুর লেনস্থ ওয়াইএনটি সেন্টারে গত শনিবার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রসঙ্গত গত ১২ মার্চ ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজকে জিন্মি করে সোমালিয়া। জলদস্যুরা। এরপর তারা মুক্তিপণ দাবি করে। বিষয়টি মালিকপক্ষ সরাসরি স্বীকার না করলেও মুক্তিপণ দিয়েই জাহাজটিকে মুক্ত করেছে তারা। ১৪ বছর আগে একই মালিকের আরেকটি জাহাজ এমভি জাহান মণিকেও একইভাবে মুক্ত করে এই মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপ।

Related Articles

Back to top button