ইরানের শক্তিশালী ৯ ক্ষেপণাস্ত্রের ভয়ে কাঁপছে ইসরায়েল
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলের হামলার জবাব দিতে যাচ্ছে তেহরান। এসব হামলায় শতাধিক ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত রাখা হলেও মূলত ৯টি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলকে কাঁপনি ধরিয়েছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। খবর পার্সটুডের।
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডারকে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় শক্তি বলে উল্লেখ করেছে। ইরানের এই ক্ষেপণাস্ত্র বহরে রয়েছে নানা ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র।
ইরসাইলে আঘাত হানতে সক্ষম ইরানের ৯টি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে রয়েছে-
খোররামশহর-৪ ক্ষেপণাস্ত্র (খাইবার)
এটির পাল্লা ২ হাজার কিমি, দৈর্ঘ্য: ১৩ মিটার, ব্যাস: ১.৫ মিটার, ওজন: ৩০ টন, গতি: বায়ুমণ্ডলের বাইরে ১৬ ম্যাক/বায়ুমণ্ডলের ভিতরে ৮ ম্যাক
হাজি কাসেম ক্ষেপণাস্ত্র
এই ক্ষেপণাস্ত্রটির পাল্লা ১ হাজার ৪০০ কিমি, দৈর্ঘ্য ১১ মিটার, ওজন ৭ টন, গতি ৫ ম্যাক।
খায়বার শেকান ক্ষেপণাস্ত্র
এটির পাল্লা ১ হাজার ৪৫০ কিমি, দৈর্ঘ্য ১০.৫ মিটার, ওজন ৪ হাজার ৫০০ কেজি। গতি ঘণ্টায় ৫ হাজার কিলোমিটারের বেশি।
সিজ্জিল ক্ষেপণাস্ত্র
সিজ্জিলের পাল্লা ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০কিমি. দৈর্ঘ্য ১৭.৫৭ মিটার। ওজন ২৩ টন। গতি ১২ থেকে ১৪ ম্যাক।
পাভে ক্ষেপণাস্ত্র
এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ১ হাজার ৬৫০ কিমি, উড়ন্ত উচ্চতা ৫০ মিটারের কম, গতি ঘণ্টায় ৬০০ থেকে ৯০০ কি.মি.।
ফাত্তাহ-২ ক্ষেপণাস্ত্র
এটির পাল্লা ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটারের বেশি, দৈর্ঘ্য ১২ মিটার। ওজন ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার ১০০ কেজি। গতি ৫ ম্যাক।
কদর ক্ষেপণাস্ত্র (ট্রিপল)
কদর ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ১ হাজার ৯৫০ কি.মি. পর্যন্ত। ওজন ১৭ হাজার ৪৮০ কেজি পর্যন্ত। গতি প্রায় ৯ ম্যাক।
এমাদ ক্ষেপণাস্ত্র
এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা প্রায় ১ হাজার ৭০০ কি.মি.। ওজন ১ হাজার ৭৫০ কেজি।
শাহাব-৩ ক্ষেপণাস্ত্র
এর পাল্লা প্রায় দুই হাজার কি.মি.। দৈর্ঘ্য প্রায় ১৬ মিটার। ওজন ১ হাজার ৭৮০ কেজি।
যেকোনো কূটনৈতিক স্থাপনায় হামলা হলে তার জবাব আন্তর্জাতিক আইনে সম্পূর্ণ বৈধ। এ কারণে ইরানের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা ইসরাইলকে কঠোর ও অনুশোচনামূলক জবাব দেওয়ার প্রত্যয় জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা ইমাম খামেনেয়ী গত বুধবার সকালে ঈদুল ফিতরের নামাজের খুতবায় দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট ভবনে ইসরাইলি হামলার কথা উল্লেখ করে বলেন, আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী একটি দেশের কূটনৈতিক মিশনকে ওই দেশের ভূখণ্ড হিসেবে গণ্য করা হয়। অপশক্তি ইহুদিবাদী ইসরায়েল ইরানের কনস্যুলেট ভবনে হামলা চালিয়ে প্রকারান্তরে ইরানি ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে। তাই ইসরাইলকে এই অপরাধের জন্য শাস্তি পেতে হবে এবং তাকে শাস্তি দেওয়া হবে।
এরপর থেকেই উদ্বিগ্ন ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র। বাইডেন শনিবার হামলা না চালাতে ইরানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এর আগে দেশটি বলেছে, শিগগিরই ইরান হামলা চলাবে।