প্যারিস অলিম্পিক ভণ্ডুলের চেষ্টা করছে রাশিয়া
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে এবছর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের সর্বোচ্চ আসর অলিম্পিক। আগামী ২৬ জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া এই আসর বাস্তবায়নে ইউরোপের এই দেশটিতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।এরই মধ্যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তার দাবি, প্যারিস অলিম্পিক ভণ্ডুলের চেষ্টায় অপপ্রচার চালাচ্ছে রাশিয়া।
নতুন অলিম্পিক সুইমিং সেন্টারের উদ্বোধনের সময় রাশিয়া এই গেমসকে টার্গেট করছে কিনা এমনটি জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘কোন সন্দেহ নেই, তথ্যের ক্ষেত্রসহ (সব ভাবে)। প্রতিদিন (রাশিয়া) গল্প সামনে আনছে, আমরা এটি বা এমন কিছু করতে অক্ষম, যেন (গেমস) ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়।’ খবর বিবিসির।
ফরাসি সরকার বলেছে, রাশিয়া সম্প্রতি ফ্রান্সের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা আক্রমণ জোরদার করেছে। আর এসব গুজব ও বিভ্রান্তি ছড়াতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে।
টানা দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এমনকি রাশিয়াকে হারাতে তিনি শেষ পর্যন্ত কিয়েভের পক্ষে যুদ্ধ করার জন্য ফরাসি সৈন্য পাঠানোর বিষয়টিও উড়িয়ে দিতে অস্বীকার করেন না।
পোর্টাল কম্ব্যাট নামে রাশিয়ার তৈরি ওয়েবসাইটগুলোর একটি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে নানা গল্প-গুজব তৈরি করে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। যেমন এগুলোতে দাবি করা হয়েছে, ফরাসি ভাড়াটে সৈন্যরা ইতোমধ্যেই ইউক্রেনে কাজ করছে বা প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ হত্যা প্রচেষ্টার ভয়ে কিয়েভ সফর বাতিল করেছেন।
সম্প্রতি মস্কোর কাছে ক্রোকাস সিটি হলে সন্ত্রাসী হামলার পর গত বুধবার ফরাসি ও রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের মধ্যে একটি বিরল টেলিফোন আলাপ হয়। ম্যাক্রোঁর মতে, ফ্রান্সের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল যা রাশিয়ানদের ইসলামিক স্টেট গ্রুপের আফগান অংশ থেকে অভিযুক্ত হামলাকারীদের সম্পর্কে আরও জানতে সাহায্য করতে পারে।
কথোপকথনের বিষয়ে ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেবাস্তিয়ান লেকর্নু বলেছেন, মস্কোতে হামলার পেছনে ইউক্রেন জড়িত বলে রাশিয়ার করা অভিযোগের বিষয়ে ফ্রান্সের উদ্বেগের বিষয়টি তিনি রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুকে জানিয়েছেন।
মূলত হামলার পেছনে কিয়েভ জড়িত বলে মস্কো দাবি করলেও ফ্রান্স বলেছে, এই বিষয়ে কোনও প্রমাণ নেই।