হামলায় কোনো ক্ষতি হয়নি : ইরানি কমান্ডার
কথিত ইসরাইলি হামলায় ইরানের কোনো ক্ষতি হয়নি বলে দাবি করেছেন দেশটির এক সিনিয়র কমান্ডার। আজ শুক্রবার ভোররাতে ইসরাইল ইরানের ইসফাহানে হামলা চালানোর পর তিনি এই দাবি করেন।
ইরানি সেনাবাহিনীর সিনিয়র কমান্ডার সিয়াভশ মিহানদোস্ত রাষ্ট্রীয় টিভিকে বলেন, রাতের বেলায় যে শব্দ শোনা গেছে, তা আসলে ‘সন্দেহজনক বস্তুকে’ টার্গেট করে ইরানি বিমান প্রতিরক্ষা সিস্টেমের শব্দ।
তিনি বলেন, ইরানি সামরিক বাহিনী ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি ‘সন্দেহজনক বস্তু’কে গুলি করে ভূপাতিত করেছে।
তিনি বলেন, বিস্ফোরণে কোনো দুর্ঘটনা বা ক্ষতি হয়নি।
এদিকে ইরানের আধা-সরকারি মেহর নিউজ অ্যাজেন্সি জানিয়েছে, ইসফাহান নগরী এখন পুরোপুরি শান্ত ও নিরাপদ রয়েছে।
টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, লোকজন তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে।নগরীর প্রধান প্রধান এলাকায় যানবাহনের স্বাভাবিক উপস্থিতি রয়েছে।
এর আগে ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র আজ শুক্রবার ভোরে ইরানের একটি টার্গেট করা স্থানে আঘাত হেনেছে বলে এবিসি নিউজ জানায়। এছাড়া সিরিয়া ও ইরাকেও হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। ইরান তার দেশের বেশ কয়েকটি স্থানের বিমান চলাচল স্থগিত করেছে। ইরানি মিডিয়ার খবরে ইসফাহান বিমানবন্দরের কাছে হামলার কথা জানিয়েছে।
ইরানি বিমানবন্দর ও বিমান চলাচল কোম্পানির খবর অনুযায়ী, তেহরান, ইসফাহান ও শিরাজ বিমানবন্দরের বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়েছে।
ইরানি পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র সক্রিয় করা হয়েছে।
ইরানের ফার্স সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ইসফাহান নগরীর বিমানবন্দরের কাছে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। তবে এর কারণ জানা যায়নি।
সংবাদ সংস্থাটি জানায়, বিস্ফোরণের কারণ নিয়ে অনুসন্ধান চলছে।
এবিসির খবরে বলা হয়, মধ্য ইরানের ইসফাহানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। আর দক্ষিণ সিরিয়ার আস-সুওয়াদা এলাকা এবং ইরাকের বাগদাদ ও বাবিল এলাকায় শুক্রবার সকালে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।
খবরে বলা হয়, ফ্লাইট ট্র্যাকারগুলো ইরানের দিকে কয়েকটি ফ্লাইটের তাদের পরিকল্পিত রুট বদলের খবর দিয়েছে। এগুলোর মধ্যে কয়েকটি আমিরাতি ফ্লাইটও রয়েছে।
ইসরাইলি হামলা ছিল ‘সীমিত’
ইরানের ইসফাহান নগরীটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর কাছাকাছি এলাকায় ইরানি পরমাণু কর্মসূচি-সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু স্থাপনা রয়েছে।
তবে ইসরাইল ওইসব স্থানে আঘাত হানেনি।
ফক্স নিউজ ঘনিষ্ঠ সামরিক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, হামলাটি ছিল ‘সীমিত।’
সিরিয়ায় সেনাবাহিনীর স্থাপনাগুলোকে বিমান হামলার টার্গেট করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
ইরাকের ইরবিল ও মসুলের অধিবাসীরা জানিয়েছেন, তারা শুক্রবার সকালে যুদ্ধবিমানের শব্দ শুনেছেন।
গত শনিবার রাতে ইসরাইলের ভেতরে ইরানি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব ইসরাইল দেবে বলে ঘোষণা করার প্রেক্ষাপটে এসব বিস্ফোরণ হলো। আর ১ এপ্রিল দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে কথিত ইসরাইলি হামলার জবাবে ইরান ওই আক্রমণ চালিয়েছিল।
সূত্র : আল জাজিরা, টাইমস অব ইসরাইল, জেরুসালেম পোস্ট